শিরোনাম

South east bank ad

ধুনটে আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও রুদ্র ফাউন্ডেশন

 প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

প্রদীপ মোহন্ত, বগুড়া :

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সহস্রাধিক গ্রাহকের আমানতের প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে রুদ্র ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রুদ্র ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রঞ্জু সরকারসহ পরিচালনা পর্ষদের ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক ১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রতারনার শিকার ৯ জন গ্রাহক এ বিষয়টি নিয়ে রোববার সকালে ধুনট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ধুনট উপজেলার রুদ্রবাড়িয়া-বিলপথিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বকুল আমিন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলার রুদ্রবাড়িয়া গ্রামের মোজাফফর সরকারের ছেলে রঞ্জু সরকার বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (আরডিএ) একটি প্রজেক্টে চাকুরি করতো। সেখানকার প্রজেক্ট শেষ হওয়ায় তিনি গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। ২০১৮ সালে তিনি তার বাবা মোজাফফর সরকার, স্ত্রী দৃষ্টি আক্তার, ভাই রুহুল আমিনসহ আরো কয়েকজন ব্যক্তি মিলে একটি এনজিও গড়ে তোলেন।

তারা ওই এনজিও’র নাম দেন রুদ্র ফাউন্ডেশন। অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারা এনজিওটির কার্যক্রম শুরু করে। শেরপুর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড শিরিন মহল নামে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে এনজিওর প্রধান কার্যালয় বানান। সেখান থেকে তারা শেরপুর ও ধুনট উপজেলায় গ্রাহক তৈরির কার্যাক্রম চালাতে থাকেন।

এসময় তারা এলাকার মানুষদের অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে রুদ্র ফাউন্ডেশনে বিনিয়োগ করাতে থাকেন। তাদের প্রলোভনে প্রভাবিত হয়ে আমরা ৯ জন ব্যক্তি ওই এনজিওর কয়েকটি পলিসি গ্রহণ করি। ২০১৮ সালে আমরা ওই প্রতিষ্ঠানে মোট ৭১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি।

এর মধ্যে আমার ১১ লাখ ৮৪ হাজার, বেসরকারি চাকুরিজীবী জাফর ইকবাল ৫ লাখ, নূরনাহার বেগম ২ লাখ, মনির ইসলাম ১৫ লাখ ৭০ হাজার, রোজিনা খাতুন ১ লাখ, মুন ৫ লাখ, কৃষক রফিকুল ইসলাম ১৭ লাখ, আব্দুল হামিদ ১১ লাখ, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।

সম্প্রতি আমরা রুদ্র ফাউন্ডেশনে গিয়ে বিনিয়োগ করা টাকা ফেরৎ চেয়ে আবেদন করি। তারা ১০ নভেম্বর তারিখে আমাদেরকে টাকা ফেরৎ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু নভেম্বর মাস আসার আগেই তারা অফিস বন্ধ করে আত্মগোপন চলে যান। এতে আমরা দিশাহারা হয়ে পড়েছি। পরে জানতে পারি তারা আমাদের মত আরো প্রায় এক হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

এ ঘটনায় আমরা বাদি হয়ে জেলা বগুড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথক ১১টি প্রতারণা মামলা করেছি। মামলাগুলো বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। আমাদের বিনিয়োগ করা টাকাগুলো উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে রুদ্র ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রঞ্জু সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে বগুড়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টির প্রমান পাওয়া গেছে। বিষয়টির তদন্তকাজ চলমান রয়েছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: