শিরোনাম

South east bank ad

লঞ্চে অগ্নিদগ্ধ মানুষগুলোর শেষ গোসল ছাড়াই জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন

 প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা)

রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসা বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।

গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেলের কাছে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে লঞ্চটি।

এতে মোট ৩৩ টি লাশ ঝালকাঠি থেকে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান গ্রহন করেন। ওই ৩৩ টি লাশের ইতোমধ্যে ৬ টি লাশ শনাক্ত করে আত্মীয়ের কাছে হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার রাত সোয়া ১১ টায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পৌঁছায় ৩৩ মরদেহ। প্রতিটি মরদেহের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বরগুনা সদর থানায়।

এরমধ্যে- সদরের ৯ নং এম বালিয়াতলীর বশির আহমেদ স্বপনের স্ত্রী জাহানারা (৪৫), ২নং গৌরিচন্না ইউনিয়নের খাজুরতলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের দুই কন্যা লামিয়া আক্তার (৪), সামিয়া আক্তার (৪)। তবে রফিকুল এর স্ত্রী শিমু আক্তার নিখোঁজ রয়েছেন। পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী গ্রামের মোস্তফার কন্যা সাহিদা (১৫), একই উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা গ্রামের নাসরুল্লাহর কন্যা তাবাসসুম (৩), ৮ নং বরগুনা সদর ইউনিয়নের ঢালুয়া গ্রামের বেল্লালের স্ত্রী মনোরা (৫০),

বাকি ২৫ টি কফিনে ২৭ টি লাশের দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। যার মধ্যে ২ টি কফিনে মায়ের সাথে সন্তানকে কবরস্থ করা হয়।

তবে ৩৩ টি লাশ ছাড়াও ঝালকাঠি থেকে স্বজনরা ৪ টি লাশ শনাক্ত করে নিয়ে ইতোমধ্যে নিয়ে এসেছেন। এরমধ্যে-বামনা, বেতাগী ও পাথরঘাটার বাসিন্দা। অগ্নিদগ্ধে মৃত্যুবরণকারী প্রত্যেককে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা ও আহতদের সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।

আজ শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) ৩০ টি লাশের বেলা ১১ টায় সার্কিট হাউজ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে নামাযে জানাজা শেষে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় পোটকাখালী গণ কবর তৈরি করে শনাক্তহীন লাশগুলোর শেষ গোসল ছাড়াই দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

জানাজা শেষে পোটকাখালী জাতীয় কবরস্থানে তিন সারিতে বিশেষ মর্যাদায় এদের দাফন করা হয়। সার্কিট হাউজ থেকে পোটকাখালী কবরস্থানে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার দুই প্রান্তে দাঁড়িয়ে শেষবারের মতো বরগুনার মানুষ সমবেদনা জানান।

এই প্রথমবারের মতো গণ জানাজার ইমামতি করেন- বরগুনা কালেক্টর (ডিসি কোর্ট) জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মুফতি জাহিদুল ইসলাম।

ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যার মুঠোফোন নম্বর (০১৭১৬৭০০১৭০)। শনাক্ত ব্যতীত যে লাশগুলো দাফন করা হয়েছে, প্রতিটি লাশের ডিএনএ রাখা হয়। পরবর্তীতে যোগাযোগ কৃত আত্মীয়-স্বজনের ডিএনএ'র সাথে মৃত ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে লাশের কবর চিহ্নিত করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

এসএমটি

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: