শিরোনাম

South east bank ad

মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের পরে হস্তান্তর স্বজনদের খোঁজে আসা শোকার্তদের আশ্রয়

 প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মোঃ রাজু খান, (ঝালকাঠি):

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে লঞ্চে অগ্নিকান্ডে দগ্ধ ও পানিতে পড়ে নিহতদের হস্তান্তর করা হয়েছে। বরগুনা-০২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাসানুর রহমান রিমন ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে গ্রহণ করেন।

এসময় তার সাথে বরগুনা জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। গতকাল (২৪ ডিসেম্বর) শুক্রবার রাতে শহরের পৌর মিনিপার্কে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। ঝালকাঠি পৌরসভার মিনিট্রাকে মরদেহগুলো নেয়া হয়। এরআগে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়। অপরদিকে স্বজনদের খোঁজে ঝালকাঠির সুগন্ধা নতীর তীরে আসা শোকার্তদের আশ্রয় দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ঝালকাঠি সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে শোকার্ত স্বজনদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে।

জানাগেছে, সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে অগ্নিকান্ডে নিহতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৪০জনে। এদের মধ্যে ৬জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া বাকি ৩৪জনের মরদেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। যেসব পরিবার থেকে নিখোঁজ রয়েছে তাদের ডিএনএ নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লঞ্চটিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পর থেকে যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

ঘটনার পর বরগুনার ১০ যাত্রী বেঁচে ফিরলেও এখনো নিখোঁজ আছেন অনেকে। গতকাল শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বরগুনার নৌবন্দরে অপেক্ষা করেও অনেক যাত্রীর খোঁজ পাননি স্বজনরা। কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা।

তথ্যমতে বরগুনার ১৯ জন নিখোঁজ আছেন। এরা হলেন- বরগুনার মাইঠা এলাকার ইদ্রিস খান, নলী এলাকার আবদুল হাকিম, চাঁদপুরের মনোয়ারা, পাথরঘাটার টেংরার পপি আক্তার, পাথরঘাটা পৌরসভার তালতলা এলাকার আবদুর রাজ্জাক, পাথরঘাটার কালমেঘার কালিবাড়ি এলাকার রাকিব মিয়া, বরগুনা সদরের হাফেজ তুহিনের মেয়ে (নাম অজ্ঞাত), সদরের ছোট আমতলী এলাকার জয়নব বেগম, মির্জাগঞ্জ উপজেলার রিনা বেগম ও তার মেয়ে রিমা, বরগুনা সদরের পরীরখাল এলাকার রাজিয়া ও তার মেয়ে নুসরাত, সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের মইন, তার ছেলে আবদুল্লাহ ও শালি আছিয়া, বরগুনা ঢলুয়া এলাকার মোল্লারহোড়া গ্রামের তাসলিমা, তার মেয়ে মিম ও তানিশা এবং ছেলে জুনায়েদ। স্বজনদের খুজতে সন্ধ্যায় তাঁরা ঝালকাঠিতে আসেন। রাতে নিরাপদে থাকার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতের গরম কাপড়সহ সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের একটি রুমে আশ্রয় দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, লঞ্চে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিহতদের মরদেহ বরগুনার এমপি শওকত হাচানুর রহমান ও জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হাস্তান্তর করা হয়। এদের মধ্যে ৬জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত ও নিখোঁজ যাত্রীদের বিষয়ে যেকোনো তথ্য জানা বা অবহিত করার জন্য বিশেষ কন্ট্রোল রুম খুলেছে বরগুনা জেলা প্রশাসন। এরপর সন্ধ্যা থেকেই বিষয়টি নিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

ঘোষণায় বলা হয়, ইতোমধ্যে নিহতদের মরদেহ বরগুনা আনা হয়েছে। মরদেহ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে রাতে রাখা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে নিহতদের মরদেহ শনাক্ত করার জন্য কন্ট্রোল রুমের মোবাইল নম্বর: ০১৭১৬৭০০২৭০, টেলিফোন নম্বর: ০২৪৭৮৮৮৬২৪৮ ও ই-মেইল dcbarguna@mopa.gov.bd- তে যোগাযোগের অনুরোধ করা যাচ্ছে। হাসপাতাল থেকে স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে যেতে পারবে। তাছাড়া স্বজনদের খোজে আসা শোকার্তদের রাতে থাকার জন্য সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের একটি কক্ষ খুলে দেয়া হয়েছে। সেখানে শীত নিবারনের জন্য কম্বল দেয়া হয়েছে।

এসএমটি

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: