শিরোনাম

South east bank ad

২১ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব থেকেই বার্সার বিদায়

 প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

নিজেদের ক্লাব ইতিহাসে কখনোই বায়ার্ন মিউনিখকে তাদের ঘরের মাঠে হারাতে পারেনি বার্সেলোনা। বাঁচা-মরার ম্যাচে গ্রুপ পর্ব পেরোতে হলে তাই ভাঙা-চোরা দল নিয়েই কাতালান ক্লাবটিকে লিখতে হতো নতুন ইতিহাস। কিন্তু সেই কাজে ব্যর্থ তারা। যার ফলে দীর্ঘ ২১ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে বার্সা।

বায়ার্ন মিউনিখের ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বুধবার রাতে ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছে স্বাগতিকরা। থমাস মুলার দলকে এগিয়ে নেয়ার পর প্রথমার্ধেই ব্যবধান বাড়ান লেরয় সানে। দ্বিতীয়ার্ধে অন্য গোলটি করেন জামাল মুসিয়ালা।

এই হারে দুই দশক পর ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ টুর্নামেন্ট থেকে ইউরোপা লিগে নেমে যাওয়ার তেতো অভিজ্ঞতা হলো বার্সেলোনার। একই গ্ৰুপের অন্য ম্যাচে ডায়নামো কিয়েভকে ২-০ গোলে হারিয়ে রানার্সআপ হয়ে নকআউট পর্বে উঠেছে বেনফিকা।

গ্রুপে ছয় ম্যাচের সবকটি জেতা বায়ার্নের পয়েন্ট ১৮। রানার্সআপ বেনফিকার পয়েন্ট ৮। ৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় বার্সেলোনা।

ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরুর ভাগে বায়ার্নের পারফরম্যান্স ছিল বেশ সাদামাটা। বিপরীতে নিজেদের চেনা রূপে হাজির হওয়ার চেষ্টা করে বার্সেলোনা। ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় অবশ্য তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না সফরকারীরা।

২৭তম মিনিটে ম্যাচের প্রথম নিশ্চিত সুযোগ পায় বায়ার্ন। মুলারের ক্রস ঝাঁপিয়ে পড়া গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগানকে ফাঁকি দিয়ে চলে যায় দূরের পোস্টে গোলমুখে থাকা রবার্ট লেভানদোভস্কির পায়ে। তবে আগেই একটু বেশি এগিয়ে যাওয়া পোলিশ ফরোয়ার্ড প্রয়োজনীয় টোকাটা দিতে পারেননি।

৩৪তম মিনিটে বাম দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে জেরার্ড পিকের বাধা এড়িয়ে ছয় গজ বক্সে ক্রস বাড়ান লেভানদোভস্কি। মুলারের নেয়া হেড অবশ্য ঠেকিয়ে দেন রোনাল্ড আরাউহো। তবে গোললাইন প্রযুক্তিতে দেখা যায়, বল আগেই গোললাইন পেরিয়ে গিয়েছিল।

এর মাধ্যমে ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় মুলারের গোল হলো ৫০টি, জার্মান খেলোয়াড়দের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে বার্সেলোনার বিপক্ষে সর্বোচ্চ গোলের কীর্তিও গড়লেন তিনি, ৮টি।

তখনই বার্সেলোনার নকআউট পর্বের আশা অনেকটা মিইয়ে যায়। কারণ নিজেরা তো পিছিয়ে আছেই, অন্য ম্যাচে প্রথম ২২ মিনিটের মধ্যেই ডাইনামো কিয়েভের বিপক্ষে ২-০ গোলে এগিয়ে তখন বেনফিকা।

ওখান থেকে বার্সেলোনা ঘুরে দাঁড়াবে কী, নিজেদের যেন আরো হারিয়ে ফেলে তারা। সেই সুযোগে ৪৩তম মিনিটে অনেক দূর থেকে নেয়া জোরালো শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সানে।

বার্সেলোনার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন জামাল। ৬২তম মিনিটে বাঁ দিকের বাইলাইনের ওপর থেকে আলফন্সো ডেভিসের বাড়ানো বল ছয় গজ বক্সে পেয়ে জালে পাঠান তিনি। একইসঙ্গে নিশ্চিত করেন দলের বড় জয়।

এর আগে বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব থেকে সবশেষ বিদায় নিয়েছিল ২০০০-০১ আসরে। সেবার এসি মিলান ও লিডস ইউনাইটেডের পেছনে থেকে তৃতীয় হয়ে উয়েফা কাপে (এখনকার ইউরোপা লিগ) নেমে গিয়েছিল কাতালান ক্লাবটি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: