শিরোনাম

South east bank ad

নারী উদ্যোক্তা থেকে যেভাবে নৌকার মাঝি হলেন তৃপ্তি

 প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া):

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের (নৌকা প্রতীক) মনোনয়ন পেয়েছেন নারী উদ্যোক্তা নাহিদ সুলতানা তৃপ্তি। উপজেলার মধ্যে তিনিই প্রথম বারের মতো নারী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন।

নাহিদ সুলতানা তৃপ্তি রাজশাহী বিভাগ থেকে ২০০৯ সালে ঢাকায় শ্রেষ্ঠ নারী আত্মকর্মী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে জাতীয় যুব পুরস্কার পান। দৃঢ় মনোবল নিয়ে রাজনীতিতে আসা এই নারী উদ্যেক্তা এবার জয় করলেন নৌকার মনোনয়ন। লড়তে চান নির্বাচনে। তবে তাঁকে নিয়ে জনগণের কৌতুহলের শেষ নেই। পঞ্চম ধাপে আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে এই ইউনিয়নের নির্বাচন।

নাহিদ সুলতানা তৃপ্তি স্থানীয় একটি এনজিওতে মাঠকর্মীর চাকরি করেন। দুই বছর চাকরির পর তিনি ১৯৯৯ সালে এইচএসসি পাস করেন। পরে আত্মবিশ্বাস নিয়েই বাড়ির অপ্রশস্ত উঠানে ১৫০টি লেয়ার মুরগি নিয়ে খামার শুরু করেন তিনি। কিছুদিন পর শুরু করেন ব্রয়লার পালন। সে সময়ে এলাকার একজন প্রশিক্ষিত যুবকের কাছ থেকে জানতে পারেন বগুড়ায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে গবাদিপশু, মৎস্য চাষ ও হাঁস-মুরগি পালনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।

চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন প্রদান সমস্যাজনিত কারণে তার খামারটিও লাভজনক হচ্ছিল না। এসব কারণে ২০০১ সালে তিনি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বগুড়ার যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গবাদিপশু, মৎস্য চাষ ও হাঁস-মুরগি পালন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক তিন মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সেই প্রশিক্ষণ শেষে ঋণ নিয়ে প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে খামার বড় করতে শুরু করেন গ্রামের গৃহবধূ তৃপ্তি।

এভাবে দিনে দিনে খামারটি ১৪টি মুরগির সেডে প্রসারিত হয় এবং সাড়ে ২১ হাজার মুরগি পালন করা হয়। তৃপ্তি ট্রেডার্স নামে ওই পোল্ট্রি খামার পরবর্তীতে আরও প্রসারিত হয়। তিনি ওই এলাকায় গরুর খামার এবং মৎস্য খামারও দেন। শুধু পোল্ট্রি, গরু ও মৎস্য খামার গড়েই শেষ নয়। বর্তমানে উপজেলার সান্তাহার ইউপির ছাতনী এলাকায় গড়ে তুলেছেন থ্রি-স্টার ম্যাট ইন্ডাস্ট্রি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। সেখানে প্রায় ১০৪টি মেশিনে এ প্লাস্টিক ম্যাট (মাদুর) তৈরি করা হয়। এই ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ৩৫২ জন মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে তার স্বামী তাকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করেছেন।

৯০ দশকে সান্তাহার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ মালেক মজনুর হাত ধরে আওয়ামী লীগে আসেন। তবে ১৯৯৮ সালে দলে সক্রিয় হন। বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের (প্রস্তাবিত কমিটির) সদস্য।

নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী তিনি। কারণ প্রধানমন্ত্রী তাকে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী করেছেন। শুধু তাই নয়, এবারই প্রথম বারের মতো নারী প্রার্থী হিসেবে লড়তে যাচ্ছেন। মানুষ যেভাবে সাড়া দিয়েছেন তাতে জয় নিশ্চিত।
তাছাড়া এই ইউনিয়নের ভোটাররা বরাবরই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে জয়ী করে আসছেন। এবারও ব্যাতিক্রম হবে না বলে মনে করছি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: