শিরোনাম

South east bank ad

বরিশাল বিভাগে ২৯০ গ্রামের চৌত্রিশ হাজার জেলে হবেন সুবিধাভোগী

 প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এম.মিরাজ হোসাইন, (বরিশাল) :

সামুদ্রিক মৎস্যসস্পদ উন্নয়নে বরিশালে উপকূলের ২৯০টি গ্রামে কমিউনিটি সেভিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে সরকার। এর আওতায় বিভাগের ২৯টি উপজেলার ৩৪ হাজার জেলে সুবিধাভোগী হবেন। ১ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ’ নামক একটি প্রকল্পের আওতায় এসব কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে। গতকাল রোববার বরিশালে অনুষ্ঠিত প্রকল্প বিষয়ে অবহিতকরন সভায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো: আব্দুর রাজ্জাক। নগরীর কাশিপুরে মৎস্য প্রশিক্ষন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত অবহতিকরন সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক কামরুল ইসলাম।

তিনি জানান, এর আগে বিভিন্ন সময়ে অভ্যন্তরী নদ-নদীর মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধিতে একাধিক প্রকল্প হয়েছে। তবে গভীর সাগরের মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে এটাই প্রথম প্রকল্প। সাগরে ৪৭৫ প্রজাতির মাছ ও বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীজসম্পদ রয়েছে। সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ নামক প্রকল্পে শুধুমাত্র সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উন্নয়নে কাজ করবেন তারা।

তিনি জানান, প্রকল্পের আওতায় বরিশালে উপকূলের ২৯০টি গ্রামে কমিউনিটি সেভিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এরমধ্যে ১০০টি জেলে গ্রাম প্রতিষ্ঠা করা হবে। বরিশাল বিভাগের ২৯টি উপজেলা এ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। এর মধ্যে বরিশালে ৬টি উপজেলা, ঝালকাঠী ১টি, বরগুনা ৪টি, পিরোজপুর ৫টি, পটুয়াখালী ৬টি এবং ভোলায় ৭টি উপজেলা রয়েছে। এসব উপজেলায় সামুদ্রিক মাছ ধরার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রায় ৩৪ হাজার জেলে সুবিধাভোগী হবেন। সমুদ্রের মাছ উৎপাদন, আহোরন ও প্রসেসিং এর পরিকল্পনা রয়েছে এ প্রকল্পের আওতায়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো: আব্দুর রাজ্জাক প্রকল্পের অর্থ ব্যবহারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতার আহ্বান জানান।

মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ পরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার বলেন, আমাদের বিশাল জলসীমা দেশের বড় সম্পদ। এ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে পারলে দেশের মোট জাতীয় আয়ের অর্ধেক মৎস্য সম্পদ থেকে আয় করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ গ্রীন ইউনিভার্সিটির প্রশিক্ষক ড. মো: ওয়ালিউর রহমান প্রকল্পের সম্ভাব্যতা উপস্থাপন করেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জিব সন্যামত, মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস অবহিতকরান সভায় উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক কামরুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশের ১ লাখ ১৮ হাজার ৮শ’ ১৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের (ইইজেড) এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন রয়েছে। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে সাগর থেকে ৬ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়। আহরিত মাছের মধ্যে ৪৫ ভাগ ইলিশ, ৬ ভাগ চিংড়ি এবং সামূদ্রি নানা প্রজাতীর মাছ ৪৯ ভাগ। দেশে মৎস্য আহরনের ২৫৭টি বানিজ্যিক নৌযান এবং ইঞ্জিন ও যন্ত্র চালিত ৩০ হাজার নৌযান রয়েছে। মৎস্য সম্পদের উপর প্রায় ৫ লাখ জেলে নির্ভরশীল। মৎস্য রপ্তানী থেকে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ৩৯ হাজার ৮শ’ ৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: