১০ দিনের রিমান্ডে আবেদন জানিয়ে মেয়র আব্বাস কারাগারে
আমজাদ হোসেন শিমুল, (রাজশাহী ব্যুরো):
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে আপত্তিকর অডিও ফাঁসের অভিযোগে র্যাবের হাতে আটক রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে রিমান্ড ও জামিনের আবদনের শুনানির দিন আগামী রবিবার ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহী মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক শংকর কুমার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে শুনানির এই দিন ধার্য করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার আব্বাস আলীকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ আদালতে সোপর্দ করে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) ও মুখপাত্র মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, বুধবার (১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর রাজমনি ইসা খাঁ নামের একটি আবাসিক হোটেল থেকে মেয়র আব্বাসকে আটক করে র্যাব। পরে ওই দিন রাতেই র্যাবের কাছ থেকে আব্বাসকে গ্রহণ করে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানা পুলিশ। সকালে রাজশাহীতে পৌঁছার পরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। তিনি আরও জানান, আদালতে সোপর্দের সময়ই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। তবে এর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। আগামী রবিবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। শুনানি না হওয়ায় আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে মেয়র আব্বাসের আপত্তিকর একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তারপরই মেয়র আব্বাসের এই অডিও ক্লিপ সারাদেশে সমালোচনার জন্ম দেয়। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের তিন কাউন্সিলর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন। পরে ২৬ নভেম্বর ফেসবুক লাইভে এসে অডিওটি নিজের বলে স্বীকার করে ভুল হয়েছে বলে ক্ষমা চান।
আব্বাস আলী রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এবং জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য। ২০১৫ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে প্রথমবার কাটাখালীর মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হন। ম্যুরাল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে গেল ২৪ নভেম্বর দলীয় পদ থেকে মেয়র আব্বাসকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় পবা উপজেলা আওয়ামী লীগ। ২৬ নভেম্বর তাকে জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।