নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সংবাদ সম্মেলনে ‘ডাসকো’র ৯ দাবি
আমজাদ হোসেন শিমুল, (রাজশাহী ব্যুরো):
নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তিসহ ৯ দফা দাবি উপস্থাপন করেছে রাজশাহীর উন্নয়ন সংস্থা ডাসকো ফাউন্ডেশন। বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন-আরইউজে মিলনায়তনে ‘নারী নির্যাতনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি : প্রেক্ষিত রাজশাহী’ শিরোনামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
অন্য দাবিগুলো হলো- উচ্চ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি; বিচার চলাকালে নির্যাতনের শিকার নারী, শিশু ও পরিবারের নিরাপত্তা, চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা; নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলায় সাক্ষী প্রদান প্রক্রিয়া যুগোপযোগী করা; হাইকোর্টের দেয়া ২০০৯ সালের নির্দেশনা অনুযায়ী যৌন হয়রানি প্রতিরোধ নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ; পারিবারিক নির্যাতন (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০ সফল করা; ধর্ষণ, যৌন সহিংসতা, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরকারকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ; নারী নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান ঘোষণা ও বাস্তবায়ন এবং সকল প্রকার বৈষম্যমূলক আইন ও নারী নির্যাতন বিরোধী আইনকে সংশোধন করে সময়োপযোগী করা।
মানবাধিকারকর্মীদের জাতীয় প্লাটফর্ম ‘ন্যাশনাল কনফ্লিক্ট ট্রান্সফরমেশন প্লাটফর্ম’ এর পক্ষে থেকে ‘ডাসকো ফাউন্ডেশন’, রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ (রিইব) ও নেটজ বাংলাদেশ যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
ডাসকো ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আকরামুল হকের উপস্থাপনায় সংবাদ সম্মেলনে নারীর প্রতি সহিসংতা প্রতিরোধে বক্তব্য উপস্থাপন করেন- ‘রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ-রিইব’র নির্বাহী পরিচালক মেঘনা গুহ ঠাকুরতা, ‘নেটজ বাংলাদেশ’ এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার আফসানা বিনতে আমিন, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহীর গোদাগাদী উপজেলায় নারী নির্যাতনের (যৌতুকের জন্য হত্যা ও এডিস নিক্ষেপ) শিকার হয়েছেন এমন দুইজন ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবার নির্যাতনের ভয়াবহতা তুলে ধরেন। সেই সাথে তারা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা বলেন, নারী নির্যাতনের শিকার হয়ে আইনের আশ্রয় নিতে গিয়ে অনেক সময় ভুক্তভোগীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। ন্যায়-বিচার পাওয়া নিয়েও তাদেরকে শঙ্কিত থাকতে হচ্ছে। একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়- নারীদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সহিসংতার ঘটনা ঘটে পরিবারে। অর্থাৎ সারাদেশে ৮৬.৮% নারী নিজ পরিবারে এবং গণপরিবহন, বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে যৌন হয়রানি ও সহিংসতার শিকার হচ্ছেন ৮১.৬% নারী।