পুষ্টির প্রচারণায় তরুণদের উদ্ভাবনী ভাবনা কাজে লাগাতে হবে : খাদ্যমন্ত্রী
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
অচিরেই পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনের মাধ্যমে সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত হবে আশা প্রকাশ করে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে পুষ্টি কার্যক্রমের প্রচারণায় যুক্ত করে তাদের উদ্ভাধনী ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। এ সময় পুষ্টি খাতের লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গতকাল সোমবার (22 নভেম্বর) খাদ্য অধিদপ্তরের ফুড প্ল্যানিং অ্যান্ড মনিটরিং (এফপিএমইউ) ইউনিটের কনফারেন্সরুমে ‘আন্তর্জাতিক নিউট্রিশন অলিম্পিয়াডের লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মাৎ নাজমানারা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. নাজমা শাহীন, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রেশনের (গেইন) কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. রুদাবা খন্দকার, সান ফোকাল পয়েন্টের টেকনিক্যাল সাপোর্ট ডা. মো. এম ইসলাম বুলবুল, এফপিএমইউর মহাপরিচালক মো. শহীদুজ্জামান ফারুকী, নিউট্রিশন অলিম্পিয়াডের উদ্যোক্তা বিবিআইডি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহীদ উদ্দিন আকবর প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। এখন অপুষ্টি রোধে কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নিউট্রিশন ক্লাবের সদস্যরা বিশেষ করে তরুণরা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।
পুষ্টি খাতের লক্ষ্য অর্জনে তরুণদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, তরুণদের সৃজনশীলতা ও নেতৃত্বদানের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহায়তা করবে। তবে এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
এ সময় স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদরাসার শিক্ষক-ইমামদের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে পুষ্টিসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে অবহিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।