শিরোনাম

South east bank ad

বগুড়ায় বিমান উড়ার উদ্যোগ নিতে পরিদর্শন করলেন প্রতিনিধি দল

 প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :

বগুড়ায় বাণিজ্যিকভাবে বিমানবন্দর চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের একটি প্রতিনিধি দল বগুড়া বিমানবন্দর পরিদর্শন করেছেন। এই প্রতিনিধি দল বগুড়া বিমানবন্দরের কতটুকু জমি আছে, রানওয়ে, বিদ্যুৎ সরবরাহ, অফিস ও আবাসিক ভবনসহ অন্যান্য অবকাঠামো বিষয়গুলো পরিদর্শন করেন। বাণিজ্যিকভাবে বিমানবন্দর চালু করতে জমি ও কিছু অবকাঠামোর কথা বলছেন প্রতিনিধিবৃন্দ।

প্রতিনিধি দলের প্রধান ছিলেন উপসচিব ইশারাত জাহান পান্না। এছাড়াও তার সঙ্গে ছিলেন, উপ পরিচালক (এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট) মাসুদ রনা, নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) আমিনুল হাসিব, সহপরিচালক (সিএনএস) প্রশান্ত কুমার সাহা, সিনিয়র ড্রাফটম্যান কবির হোসেন।

বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক জানান, বগুড়ায় বিমানবন্দর বাণিজ্যিকভাবে চালু করার বিষয়ে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি দল সোমবার বগুড়া বিমানবন্দরের প্রাথমিক বিষয়গুলো তারা পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন করে তারা সোমবারই ফিরে গেছেন। বগুড়া বিমানবন্দর বিষয়ক কোন নির্দেশনা পাওয়া গেলে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি দলের প্রধান উপসচিব ইশারাত জাহান পান্না জানান, প্রাথমিকভাবে পরিদর্শন করা হয়েছে। বগুড়ার বিমানবন্দরে কি কি আছে সেটা নোট করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিমানবন্দরের জন্য আরো জমি প্রয়োজন হবে। আর বাকি বিষয়গুলো কর্তৃপক্ষ বলবেন।

বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু জানান, পরিদর্শনকালে তিনি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন। বগুড়ার বিমানবন্দরটি যেন বাণিজ্যিকভাবে চালু করা হয় সে বিষয়ে তিনি আরো পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। বগুড়ার বিমানবন্দর চালু করতে কয়েকবার তিনি সংসদে কথা বলেছেন। পরে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীকে বিমানবন্দর চালু করার বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন। পরবর্তীসময়ে তিনি বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর কাছে বগুড়া বিমানবন্দর বাণিজ্যিকভাবে চালু করতে একটি লিখিত প্রস্তাবনা পাঠান।

জানা যায়, বগুড়ায় বিমান বন্দর নির্মাণ কাজ শুরুর ২৫ বছরেও পূর্ণতা পায়নি। ১৯৯১-১৯৯৬ সালে বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া নামকস্থানে বগুড়া স্টল বিমান বন্দর নির্মাণ প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন পায়। সেই সময় বগুড়া সদরের এরুলিয়া মৌজায় ১০৯ দশমিক ৮১ একর ভূমি হুকুম দখল করে কাজ শুরু হয়। এ প্রকল্পে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ২২ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নে ১৯৯৫ সালে জমি কিনতে ব্যয় ধরা হয় ২৮ লাখ টাকা। প্রকল্পে ছিল ৫ হাজার ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬শ’ ফুট প্রস্থ রানওয়ে নির্মাণ, অফিস ভবন নির্মাণ, মূল গ্রাউন্ডনির্মাণ, কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন নির্মাণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ সহ প্রয়োজনীয় সব কিছুই এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে নির্মাণের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হয়। এরপর ১৯৯৬ সালে প্রথমে নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ২০০০ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আশা করা হয়। সে হিসেবে ২০০১ সালের শুরুতে বগুড়ার আকাশে বিমান উড়বে বলে আশায় থাকে জেলাবাসি। বিমান উড়বে, উড়বে করেও আর উড়েনি। বগুড়াবাসির বহু আশার বিমানবন্দরও আর চালুও হয়নি। শেষ পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে লোকসানের আশংকায় সরকারিভাবে বিমান সার্ভিস চালু করা হয়নি। সম্প্রতি বগুড়া বিমান বন্দর চালুর দাবি জোরালো হলে বাংলাদশ বিমানবাহিনী সম্ভাব্যতা যাচাই করে। এরপর এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দেয়া হয় সরকারকে। ওই প্রতিবেদনে কি বলা হয়েছে তা না জানা গেলেও বগুড়াবাসি বগুড়ার বিমান বন্দরটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর দাবি জানিয়েছে। পরে বিমানবন্দরটি বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে চালু করা হয়। বর্তমানে বগুড়ার এই বিমানবন্দরটি বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

বগুড়া জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহন শাখা সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া বিমান বন্দরের বর্তমান রানওয়ের সাথে আরো ৩ হাজার ফুট দৈর্ঘ্য রানওয়ে নির্মাণ, তেলের রিজার্ভার নির্মাণ, যাত্রী ও মালামাল হ্যান্ডলিং সহ অন্যান্য সুবিধার জন্য আরো প্রায় একশ একর জমির প্রয়োজন রয়েছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: