ধুনটে এক নারী চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী ৭ পুরুষ
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :
বগুড়ার ধুনট উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক পাওয়া সোনতিা নাছরিনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভোটের মাঠে রয়েছেন সাত জন পুরুষ প্রার্থী। সেনিতা নাছরিন উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নিমগাছি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুজাউদ্দৌলা রিপনের স্ত্রী।
চেয়ারম্যান প্রার্থী সোনিতা নাছরিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি গৃহিনী থেকে এবারই প্রথম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছে। ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত এই নারী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন বিপুল সংখ্যক নারী। সাত পুরুষ প্রার্থীকে পেছনে ফেলে সোনিতা নাছরিন চমক দেখাতে পারবেন বলে প্রত্যাশা ভোটারদের।
এই ইউনিয়নে তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাত চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন, আজাহার আলী পাইকাড়, আলেক উদ্দিন মন্ডল, নবাব আলী মন্ডল, রুহুল আমিন, জহুরুল ইসলাম, জাকির হোসেন ও শাহদৎ হোসেন।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পুরুষ প্রার্থীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সোনিতা নাছরিন নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে নানা কৌশল অবলম্বন করে ভোট প্রার্থনা করছেন। ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের এগিয়ে নেওয়ার আশ^াস দিচ্ছেন।
এ দিকে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সমাজে নারীদের বিষয়ে এখনো একটি ধারণা প্রচলিত, সেটা হলো নারীরা সাধারণত দুর্নীতি বা অনিয়ম থেকে দূরে থাকেন। তারা যে প্রতিশ্রুতিগুলো দেন, তা পালনের চেষ্টাও করে। কাজেই একজন নারী প্রার্থীর দুর্নীতিবাজ বা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। ফলে নারী প্রার্থীকে দিয়ে সমাজের উন্নয়ন, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হবে বলে এলাকার ভোটাররা বিশ্বাস করে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী সোনিতা নাছরিন বলেন, নারী প্রার্থী হিসেবে নারীরা তো আমার পেছনে একাট্টা হয়েছেন, পুরুষ ভোটারদেরও ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি, আমি বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবো।
ধুনট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোছাদ্দেক আলী বলেন, এ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ২৪ হাজার ৯৬৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ৩৯৬জন এবং নারী ভোটার ১২ হাজার ৫৭১জন।