শিরোনাম

South east bank ad

মাদারীপুরে আ.লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত-২৫

 প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

আরাফাত হাসান, (মাদারীপুর) :

ইউপি নির্বাচনে ভোট গ্রহণের একদিন আগেও মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার চরদৌলতখান ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন। বুধবার সকালে চরদৌলতখান ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে সংঘর্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী মিলন মিয়া চাচাতো ভাই আলমগীর প্যাদা (৫৫), ভাতিজা অপু প্যাদা (৩৫) ও সমর্থক রিপন মোল্লাকে (৪৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আগামীকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কালকিনির ও ডাসার উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন। এই নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সকালে ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চাঁনমিয়া শিকদার ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলন মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় অর্ধশত ককটেল ও হাতবোমা বিম্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। এ সময় উভয় পক্ষের আহত হয় অন্তত ২৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে পুলিশ। ঘটনাস্থলে র‍্যাব ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা আসিফ ইয়াজদানী বলেন, ‘হামলায় অন্তত ১০ জন ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে তিন জনের অবস্থা খুবই গুরতর। বোমা হামলায় তাদের শরীরে বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই তিন জনের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলন মিয়া বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চাঁন মিয়ার নির্দেশে ভোর সাড়ে ৬টায় প্রথমে আপনার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। ওদের টার্গেট ছিল আমাকে হত্যা করা। বাড়িতে হামলা পরে আমাদের লোকজন ধাওয়া দিয়ে নৌকার সমর্থকদের মাথাভাঙ্গা এলাকায় নিয়ে যায়। পরে সেখানে বসে আমার সমর্থকদের সঙ্গে নৌকার ক্যাডারবাহিনীর সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আমাদেরই লোকজন আহত বেশি।’
অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চাঁনমিয়া শিকদার বলেন, ‘নির্বাচনী এলাকায় মিলন নিজের প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রথমে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায়। পরে আমার নেতাকর্মীরা মিলনের নেতাকর্মীদের প্রতিরোধ গড়ে তোলে। মিলন নিজের দোষ আড়াল করতে আমার নামে মিথ্যে দোষারোপ করে যাচ্ছে।’

এ সম্পর্কে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসতিয়াক আশফাক বলেন, ‘দুপক্ষের মধ্যেই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রে আরে আরও আগে থেকেই বিরোধ চলছিল। নির্বাচনে দুজন আবার চেয়ারম্যান প্রার্থী। ভোটের আগে দুজনই এলাকায় আধিপত্য দেখানোর জন্য তাদের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় কিছু ককটের বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা বেশি খারাপ। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৮ জনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীণ।’

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: