সংসার করতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীর ওপর অভিমান করে আত্নহননের চেষ্টা
সীমান্ত সাথী, (বদরগঞ্জ) :
সংসার করতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীর ওপর অভিমান করে সিরাজুল হক (২৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আত্নহননের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার (১০ নভেম্বর) ঘটনাটি ঘটে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনের সামনে। সিরাজুল হক উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের ঝাড়পাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছোট হাজীপুর গ্রামের আনিছুল হকের মেয়ে আদুরী বেগমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে সিরাজুল হকের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নানা বিষয়ে ঝগড়া ও মনোমালিন্য লেগে ছিল। এর মধ্যে আদুরী বেগম স্বামী সিরাজুলের সঙ্গে সংসার করবে না বলে বাবার বাড়ি চলে যান। গত ২৮ জুন দেনমোহর দাবি করে আদালতে মামলা করেন তিনি। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয় আদালত। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন সংশ্লিষ্ট এলাকার মেম্বার আনজুয়ারা বেগমসহ দুই পরিবারের লোকজনকে তার কার্যালয়ে সালিসের জন্য আহবান করেন। এসময় অভিযোগকারী আদুরী বেগম ও তার স্বামী সিরাজুল হকের বক্তব্য শোনেন তিনি। এক পর্যায়ে বিষয়টি আপোষরফার জন্য আদুরী বেগম অনুরোধ জানানো হয়। এসময় আদুরী সংসার না করার জন্য তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এসময় সংসার করতে রাজি না হওয়ায় ক্ষোভ দুঃখ সইতে না পেরে উপজেলা চত্ত¡রে ইউএনও বাসভবনের সামনে গিয়ে সিরাজুল হক বিষপানে আত্নহননের চেষ্টা চালান। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
আদুরী বেগম বলেন, ‘ব্যক্তিগত নানা সমস্যার কারণে আমি তার সঙ্গে সংসার করবো না। এ জন্য আদালতে লিখিত অভিযোগ করেছি।’
সিরাজুলের ভাগিনা সুমন মিয়া বলেন, ‘আমার মামা সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু মামি তাতে রাজি নয়। উল্টো দেনমোহর দাবি করে আদালতে মামলা দেয়। এ কষ্ট সইতে না পেরে হয়তো মামা আত্ন হত্যার চেষ্টা করেন।
বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক এইচএম সানাউল হক বলেন, ‘এখনও শঙ্কামুক্ত নন। এ কারণে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।