নন্দীগ্রামে প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে অশালীন আচরণে সহকারী শিক্ষক বরখাস্ত
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :
বগুড়ার নন্দীগ্রামের রণবাঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হালিমা খাতুনের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগের সত্যতা মেলায় সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও রুজু হয়েছে।
বগুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাহমিনা খাতুন মঙ্গলবার এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উর্ধতন কর্মকর্তারা তদন্ত করবেন। সেখানেও সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাহমিনা খাতুন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১১ অক্টোবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে রণবাঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে অশালীন আচরণের খবর প্রকাশ হয়। এর প্রেক্ষিতে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হেমায়েত আলী তদন্ত করে ২১ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ তদন্তে প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে বিদ্যালয় চলাকালে অশালীন আচরণের সত্যতা পাওয়া গেছে। এর প্রেক্ষিতে সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এ সময়ে তিনি বিধি মোতাবেক ভাতা পাবেন। এছাড়া সহকারী শিক্ষক মো: কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলায় তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ব্যক্তিগত শুনানীতে অংশ নিতে বলা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শাহিনা আক্তার গত ৯ অক্টোবর নৈমিত্তিক ছুটিতে ছিলেন। তার অনুপস্থিতির কারণে প্রধান শিক্ষিকা ওইদিন সকাল সাড়ে ৯টায় সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামানকে চতুর্থ শ্রেণির গণিত ক্লাস নিতে বলেন। তখন সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামান প্রধান শিক্ষিকার হালিমা খাতুনের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এর আগেও বিভিন্ন সময় ওই শিক্ষক তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করেন। বাধ্য হয়ে তিনি নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাময়িক বরখাস্ত সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামান বলেন, তিনি এ সাময়িক বরখাস্তের ব্যাপারে কোন আপীল করবেন না। এছাড়া এ ব্যাপারে তিনি কারো কাছে কোন মন্তব্য করবেন না।