শিরোনাম

South east bank ad

আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড

 প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

স্টাফ রির্পোটার:

মাসকটেও এমন ঘটেছিল। স্কটল্যান্ডের কাছে হারের পর আকাশ ভেঙে পড়েছিল যেন! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভেও সেই একই সিকোয়েন্স। পরে ওমান ও পাপুয়া নিউগিনির সঙ্গে জিতে কোনো উদযাপন হয়নি। তবে স্বস্তির সুবাতাস বয়ে গিয়েছিল। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দাঁতে দাঁত চেপে চুপ করে আছেন। হারের পর হোটেল থেকে কেউ কোনো অ্যাক্টিভিটি করেনি।

শ্রীলংকার কাছে হারের জন্য রিয়াদ ও লিটনকেই দায়ী করা হচ্ছে। তবে আজ পুবের আকাশে আলোর মতো সম্ভাবনা নিয়ে দিনটি শুরু হবে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কখনই মুখোমুখি হয়নি ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ এলেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সুখস্মৃতি উঁকি দিয়ে যায়। যদিও ২০১৯ বিশ্বকাপে কার্ডিফে আমরা উড়ে গেছি। কিন্তু ২০১১ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামের মাঠে ২ উইকেটের জয়। আর ২০১৫-তে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। যেহেতু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ছোট আর বড় দল বলে কিছু নেই। সেহেতু প্রবল পরাক্রমশালী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্বপ্ন দেখতেই পারে। ওয়ানডে বিশ্বকাপের অর্জনই প্রেরণা হতে পারে। আর হতে পারে এটি বলয় ভেঙে বের হয়ে আসার ম্যাচ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে ৫টি করে ম্যাচ। আর চারটি ম্যাচ বাকি। ইংল্যান্ডের ম্যাচটি আবুধাবিতে। দুবাই থেকে আবুধাবি ১৩৯ কিলোমিটার দূর। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল দুবাইয়ের হোটেলেই রয়েছেন। পুরো পথ ভ্রমণ করে কাল আবুধাবি যাবেন। যদিও এখানকার সড়কপথে ইউরোপের ছোঁয়া রয়েছে। তেমন সমস্যা হবে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আবুধাবিতে কখনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেনি। এবারই প্রথম খেলতে নামছে। এর আগে শারজাতেও প্রথম টি-টোয়েন্টি ছিল। আবুধাবিতে আজ প্রথমবারের মতো ছোট সংস্করণের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার পাশাপাশি নতুন ভেন্যুর সঙ্গে পরিচিতিও ঘটবে মাহমুদউল্লাহদের।

বাংলাদেশের বর্তমান অধিনায়ক রিয়াদের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো স্মৃতি রয়েছে। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে তো ১০৩ রানের ইনিংসই খেলেছেন। ইংল্যান্ড এই বিশ্বকাপের অন্যতম শিরোপার দাবিদার। আবার প্রথম ম্যাচে তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে দিয়ে এসেছে। দুবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫৫ রানে অলআউট। ইংল্যান্ডের কোয়ালিটি বোলিং লাইনআপ। মঈন আলি ও আদিল রশিদ পরীক্ষিত। ক্রিস ওকস ও জর্ডান অভিজ্ঞ। মিলস এই লাইনআপে নতুন সংযোজন। আর ব্যাটিং নিয়ে কথা না বলাই ভালো। ইংল্যান্ড দলের ব্যাটিং গভীরতা অনেক।

বাংলাদেশের আশা কি একেবারেই নেই? আজ তারা দলে পরিবর্তন আনতে পারে। এবার পেসার অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। আর তিনি তাসকিন আহমেদ। আবার কোয়ালিটি স্পিনারও দরকার। স্পোর্টিং উইকেটে খেলা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে নাসুমকে বাদ দেওয়াটা কঠিন। আর দলে কোনো পরিবর্তন না আনলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বাংলাদেশের শক্তির জায়গা সেই স্পিনই।

আজকের পর বাংলাদেশের খেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। একটি জয় বাংলাদেশের সেমিফাইনাল আশা বাঁচিয়ে রাখতে পারে ভালোভাবে। আর হেরে গেলে স্বপ্নভঙ্গের শঙ্কা দেখা দেবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: