ফেসবুকে গৃহবধূর সঙ্গে পরিচয়-পরকীয়া ডেকে এনে গণধর্ষণ, প্রেমিক গ্রেফতার
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক গ্রুপে পরিচয়ের সূত্র ধরে বাড়িতে ডেকে এনে এক গৃহবধূকে (১৯) গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামী আরিফুল ইসলামকে (৩৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামী আরিফুল ইসলাম উপজেলার রহিমাবাদ উত্তরপাড়ার আব্দুল মান্নানের ছেলে।
সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নয়মাইল এলাকা থেকে আরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গেছে, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের এক গৃহবধূর সঙ্গে ফেসবুক গ্রুপে পরিচয়ের জের ধরে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে শাজাহানপুর উপজেলার রহিমাবাদ উত্তরপাড়ার আলম মিয়ার ছেলে রাব্বীর (২০)। গত ১৫ জুলাই বিকেলে রাব্বী ওই গৃহবধূকে ফোন করে নিজ এলাকায় ডেকে এনে হিমেল নামে এক বন্ধুর ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে প্রথমে পরকীয়া প্রেমিক রাব্বী পরে তার বন্ধু আরেফীন তাকে ধর্ষণ করে এবং অপর ৩ সহযোগী আব্দুল্লাহ, ফিরোজ ও আরেফীনের ছোটভাই নিশাদ মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় গৃহবধুর শরিরে থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে তাকে ফেলে রেখে চলে যায় ধর্ষণকারীরা। একপর্যায়ে অসুস্থ অবস্থায় গৃহবধূ বাড়িতে ফিরে বিষয়টি স্বজনদের জানায়। এরপর স্বজনরা থানা পুলিশ ও বগুড়া র্যাব-১২ ক্যাম্পে গিয়ে বিষয়টি জানায়। পরে জেলা পুলিশের তৎপরতায় র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে উপজেলার বি-ব্লক ও বনানী এলাকা থেকে পরকীয়া প্রেমিক রাব্বী (২০), আব্দুল্লাহ (১৯), আরেফীন (৩০) ও তার ছোটভাই নিশাদ (২০) নামে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। এঘটনায় ধর্ষিতা ওই গৃহবধূ বাদি হয়ে ৫ জনকে আসামী করে শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা জবানবন্দিতে আরিফুল ইসলামের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজাতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এই মামলার গ্রেপ্তারকৃত সকল আসামী মাদক, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত। থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে।