সাংবাদিককে পিটিয়ে পা থেতলে দিল দুর্বৃত্তরা
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :
বগুড়ার শাজাহানপুরে তুচ্ছ ঘটনায় শাহিন আলম (৫০) নামে স্থানীয় এক সংবাদকর্মীকে পিটিয়ে দুই পায়ের হাটুর নিচে থেতলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সাংবাদিক শাহিন আলম উপজেলার গোহাইল ইউনিয়নের পালাহার গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলী আকন্দের ছেলে। তিনি বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রত্যাশা প্রতিদিনের শাজাহানপুর উপজেলা প্রতিনিধি।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, উপজেলার গোহাইল ইউনিয়নের পালাহার গ্রামের আলহাজ্ব বাহার উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম বাবলু (৪৫) ও তার ছোটভাই শহিদুল ইসলাম দুলু (৪০)। তাদেরকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, প্রায় দেড় মাস আগে উপজেলার পালাহার গ্রামে রাস্তার পাশে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি থেকে সাংবাদিক শাহিন আলমের চাচাতো ভাই আব্দুল মান্নানের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য তার টানে বিদ্যুৎকর্মীরা। বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে একই গ্রামের আলহাজ্ব বাহার উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম বাবলুর ভিটা জমির ওপর দিয়ে তার টানতে হয়। কিন্তু রফিকুল ইসলাম বাবলু তাতে বাধা দেয়। একপর্যায়ে বৈদ্যুতিক তার কেটে বাড়িতে রেখে দেয় রফিকুল ইসলাম বাবলু। পরে পুলিশ গিয়ে ওই তার উদ্ধার করে। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর জের ধরে রফিকুল ইসলাম বাবলু ও তার ছোটভাই শহিদুল ইসলাম দুলু সাংবাদিক শাহিন আলমকে দেখে নেয়ার হুমকি। সোমবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সাংবাদিক শাহিন আলম আতাইল বাজারে চা পান করতে গেলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা রফিকুল ইসলাম বাবলু ও তার ছোটভাই শহিদুল ইসলাম দুলুসহ ৫-৬ জন অতর্কিতভাবে হামলা করে। হামলা চালিয়ে লাঠিসোটা দিয়ে বেদমভাবে পিটিয়ে শাহিন আলমের দুই পায়ের হাটুর নিচে থেতলে ফেলে এবং এক হাতের আঙ্গুল ভেঙে ফেলে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা শাহিন আলমকে নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। এঘটনায় সাংবাদিক শাহিন আলমের ছোটভাই শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ওইরাতেই মূল দুই আসামী রফিকুল ইসলাম বাবলু ও তার ছোটভাই শহিদুল ইসলাম দুলুকে গ্রেপ্তার করেছে।
শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। অপর আসামীদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।