ধুনটে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে এ্যাসিল্যান্ড অবরুদ্ধ
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ সংস্কার কাজে বালু উত্তোলনের স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে এ্যাসিল্যান্ডকে অবরুদ্ধ রেখে তার গাড়ির চালককে মারধর করেছে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসি। রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলা সদরের পাকুড়িহাটা হলহলিয়া নদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হলহলিয়া নদীর তীরে পাকুড়িহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয়ের মাঠের আংশিক ভেঙে নদীতে বিলীন হয়েছে। ওই মাঠ সংস্কার কাজের জন্য সরকারি বরাদ্দ না পেয়ে গ্রামবাসি সিদ্ধান্ত নেয় মাঠ সংস্কারের। গত দুই দিন ধরে হলহলিয়া নদী থেকে খনন যন্ত্র দিয়ে বালু তুলে মাঠ সংষ্কার কাজ শুরু করে। সংবাদ পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরকত উল্লাহ রবিবার সন্ধ্যার দিকে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করতে থাকেন। এ সময় এ্যাসিল্যান্ডের গাড়ি চালক আব্দুল মোমিন বালু তোলার কাজে ব্যবহৃত খনন যন্ত্র ভাঙচুরকালে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসির আক্রমণের শিকার হয় ভ্রাম্যমান আদালতের দল। এক পর্যায়ে বিদ্যালয় মাঠে এ্যাসিল্যান্ডকে অবরুদ্ধ রেখে তার গাড়ির চালক আব্দুল মোমিনকে মারধর করে। প্রায় আধা ঘন্টা পর অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে এ্যাসিল্যান্ডসহ ভ্রাম্যমান আদালতের দলকে উদ্ধার করেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সরকারী কমিশনার (ভূমি) বরকত উল্লাহ বলেন, পাকুড়িহাটা গ্রামে মাসুদ রানা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে হলহলিয়া নদী থেকে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পেয়ে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করি। তখন গ্রামবাসির দাবি ছিল অভিযান না করার জন্য। এ বিষয় নিয়ে গ্রামবাসির সঙ্গে বাকবিতন্ডা ও আমার গাড়ির চালকের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধুনট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বলেন, গ্রামবাসি স্কুলের মাঠ সংস্কারের জন্য নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। সেখানে ভ্রাম্যমান আদালতের দলের সঙ্গে গ্রামবাসির ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। আমি বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত না। তারপরও প্রতিপক্ষের লোকজন ষড়যন্ত্রমুলকভাবে আমাকে জড়িয়ে অপপ্রচার করছে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।