দলীয় প্রার্থী মনোনয়নে ত্যাগী নেতারা বাদ, নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
আমিনুল ইসলাম জুয়েল, (রংপুর) :
আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর থেকে রংপুরের পীরগাছায় একাধিক ইউনিয়নে নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
দলের মনোনিত প্রার্থীদের পক্ষে বিপক্ষে চলছে বিক্ষোভ মিছিল ও শোডাউনসহ বর্ধিত সভা। ঘোষিত প্রার্থীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে পুনরায় ত্যাগী নেতাদের প্রার্থী ঘোষণার দাবী জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে একাধিক ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
শনিবার(৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নে ঘোষিত দলীয় প্রার্থীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে পুনরায় দলের ত্যাগী নেতাদের মধ্য থেকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার দাবী জানানে হয়।
বর্ধিত সভায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তাম্বুলপুর ইউনিয়ন শাখার সহ-সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রার্থীতা বাতিল ও নতুন প্রার্থী ঘোষণার দাবীতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ পীরগাছা উপজেলা শাখার যুগ্ন সম্পাদক জাহিদুল হক সরকার, তাম্বুলপুর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহিন সরদার, সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা নুরুজ্জামান বিএস, সোহরাব হোসেন মিঠু , আবুল কালাম আজাদ খোকা, যাদব চন্দ্র রায় প্রমুখ । বর্ধিত সভায় বক্তারা বলেন, নৌকা আদম ব্যাপারীর কাছে চুরি হয়ে গেছে। দলীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে। যাকে নৌকা দেয়া হয়েছে সে দলের কেউ না। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সিদ্ধান্তের বাহিরে প্রার্থী ঘোষণা করায় তা প্রত্যাখান করা হলো।
ওই ইউনিয়নে বিদ্যুৎ কুমার সরকারকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়।
এছাড়াও উপজেলার একাধিক ইউনিয়নে বিতর্কিত ব্যক্তিকে দলের মনোনয়ন দেয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিতর্কিত প্রার্থীদের বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী ঘোষণার খবর পাওয়া গেছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আল মাহমুদ মিলন বলেন, দলীয় প্রার্থী ঘোষণায় অনেক ত্রুটি হয়েছে। অনেকে দলের সাথে সম্পর্কিত নয় তাদেরকেও মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। গত ৩০ বছর নিজ এলাকায় না থেকেও মনোনয়ন পেয়েছে। দলীয় কর্মকান্ডে কোন দিন উপস্থিত ছিলেন না তাদের হাতে নৌকা উঠেছে। তার পরেও নৌকার বিপক্ষে যাওয়ার কোন সুযোগ নাই। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিতে হবে।