বাংলা ও বাঙ্গালীর শ্রেষ্ঠ কবি নজরুল চর্চার দ্যূতি বিশ্বময় ছড়িয়েছেন : উপাচার্য প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান
মো.নজরুল ইসলাম, (ময়মনসিংহ) :
বাংলা ও বাঙ্গালী তথা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি আমাদের প্রাণপ্রিয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখনি ও তার উপর গবেষণাসহ নজরুল চর্চা দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে এক যুগান্তকারি পদক্ষেপ নিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান। ফলে দেশের বাইরেও জাতীয় কবির নামে প্রতিষ্ঠিত ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়’এর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে দেশ-বিদেশের নজরুল ভক্ত, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের মানুষ দক্ষতার সাথে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনাসহ সার্বিক কর্মকান্ডে উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সূতে জানা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দীর্ঘ ৩৪ বছরের শিক্ষকতায় অভিজ্ঞ প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান ২০১৭ সনের ১৪ই নভেম্বর তারিখে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী তাঁকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় তিনি সবসময় তাঁদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি যোগদানের পরেই প্রথম বর্ষ ¯স্নাতক সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষা অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন করেন। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এবং সকলের সার্বিক সহযোগিতায় তিনি যোগদানের কয়েকদিনের মধ্যেই এই ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করে প্রমাণ করেছেন তিনি একজন সফল প্রশাসক। পরবর্তীতে আরও দুইটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোন ভর্তি পরীক্ষাতেই কোনপ্রকার অনিয়ম, অস¦চ্ছতা ও প্রশ্নফাঁসের মতো কোনো ঘটনা ঘটে নি। অথচ এর আগের ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন অনিয়মের জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়টি গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে।
প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় আজ বিশ্বের দরবারে পরিচিত হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশ্বের কয়েকটি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে পারস্পরিক সহগোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক (এম ও ইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রিত হয়ে উপাচার্যের নেতৃত্বে ৪ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদল পরিদর্শন করেছেন। ভারতের আসানসোলের ‘কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়’ ইরানের ‘ফেরদৌসি বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং মালয়েশিয়ার ‘মারা বিশ্ববিদ্যালয়’ এর সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। চীনের (First Institute of Oceanography) এর সাথেও একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক উৎকর্ষতা সাধন সম্ভব হচ্ছে। কোর্স কারিকুলাম/সিলেবাস আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করা সহজতর হচ্ছে।
ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজের মাধ্যমে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা গবেষণা করতে পারছে। এম ফিল ও পিএইচডি ডিগ্রী প্রদানসহ শিক্ষার্থীদের বৃত্তির ব্যবস্থা করেছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া শিক্ষার্থীরা আজ গবেষণাও করতে পারছে এই ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজের মাধ্যমে।
উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এবং নিরলস প্রচেষ্টায় ১০তলা সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ একাডেমিক ভবন, ১২৮৪ জন শিক্ষার্থীর আসন বিশিষ্ট ১০তলা ছাত্র হল, ১১৭৫ খিক্ষার্থীর আসন বিশিষ্ট ১০তলা ছাত্রী হল ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। ছাত্র ও ছাত্রীদের নবনির্মিত দুটি হলে ২ হাজার ৪৫৯জন শিক্ষার্থীকে ছাত্রাবাসে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। ৫তলা বিশিষ্ট অতিথি ভবন নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ৩য় তলা থেকে ৫ম তলা শিক্ষক কোয়ার্টার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৩য় তলা থেকে ৫ম তলা কর্মকর্তা কোয়ার্টার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের ৪র্থ ও ৫ম তলার নির্মাণ কাজ ও গার্ড রুম নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ১০তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন, ৩তলা বিশিষ্ট আধুনিক কেন্দ্রীয় মসজিদ নির্মাণের কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্মাণাধীন আধুনিক কেন্দ্রীয় মসজিদে ইমাম ও মুয়াজ্জিনের আবাসনেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আলাদা ভিআইপি বিদ্যুৎ সংযোগ ও সাবস্টেশন স্থাপন করেছেন তিনি। এছাড়া ক্যাম্পাসে বিদ্যুতের তার ও পানির পাইপ মাটির নিচ দিয়ে স্থাপন কাজ সম্পন্ন ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান।
এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হাজার বছারের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাস্কর্য নির্মাণ করেছেন। পরিবেশগত দিক বিবেচনায় নিয়ে তিনি গ্রীণ বাউন্ডারি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছেন। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি পোস্ট অফিস স্থাপন করা হয়েছে। এরফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় চিঠিপত্র ও পরীক্ষার খাতা একদিকে যেমন দ্রুত প্রেরণ করা যাচ্ছে তেমনি দ্রুত সময়ের মধ্যে পাওয়াও যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ও ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড-এর দুইটি এটিএম বুথ স্থাপন করেছেন। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টা ব্যাংকিং সুবিধা নিতে পারছেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের অনলাইনে বিভিন্ন ফি জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে এবং আর্থিক স্বচ্ছতা আনয়নের লক্ষ্যে অর্থ ও হিসাব বিভাগের কার্যক্রম সফ্টওয়ারের আওতায় এনেছেন। একইসাথে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারও ডিজিটালাইজড করেছেন মাননীয় উপাচার্য। শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা এখন গ্রন্থাগার ভবনে না গিয়েও অনলাইনেই পড়াশোনা করতে পারছেন।
শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য তিনটি বড় বাস ক্রয়, শিক্ষক কর্মকর্তাদের জন্য একটি নিশান সিভিলিয়ান এবং উপাচার্য ও ট্রেজারার-এর ব্যবহারের জন্য দুইটি পাজেরো স্পোর্টস জীপ ক্রয় করা হয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানের সময়ে। তিনি জোর প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বি.আর.টি. সি বাস সার্ভিস চালু করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যেও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা পৌর মেয়রের মাধ্যমে আলোকিত করেছেন তিনি।
তাঁর সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জনের বেশী শিক্ষকসহ ১৪০ জনবল নিয়োগ দিয়েছেন। সেইসাথে প্রায় ৬০ জন মাস্টার রোল কর্মচারীকে দীর্ঘদিন পর স্থায়ীকরণ করেছেন তিনি। এই নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজকে আরও বেগবান করেছেন উপাচার্য। দুইটি নতুন অনুষদ যথা: আইন ও বিচার এবং চারুকলা অনুষদ চালু করেছেন। নতুন ৪টি বিভাগ যথা: সমাজবিজ্ঞান, দর্শন, ব্যবস্থাপনা ও পরিসংখ্যান বিভাগ চালু করেছেন।
করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় সরকারী নির্দেশে ২০২১ সনের ১৩ জুন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু হয়। কিন্তু করোনা সংক্রমণ আবারও বেড়ে গেলে ২৫ জুন থেকে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভূক্ত বিভিন্ন এলাকা লকডাউন ঘোষণা করায় আবারও পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এর কয়েকদিন পর দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা আটকা পড়ে। শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা চিন্তা করে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং ভাড়া করা বাস দিয়ে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের তাদের নিজ নিজ বিভাগীয় শহরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিভাগীয় শহরে পৌঁছে দেওয়ায় উপাচার্য শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বিভিন্ন মহলে ভূয়সী প্রসংশা ও সুনাম অর্জন করেন। ক্যাম্পাস দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় অনলইনে ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্যও তিনি একটি নীতিমালা তৈরির জন্য একাধিক কমিটি গঠন করে দেন। সেই কমিটিগুলো নীতিমালা তৈরি সম্পন্ন করেন। পরে করোনা সংক্রমণ আবারও কমে আসায় আবারও সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফলে ১ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ থেকে আবারও সশরীরে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়।
তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোবেসে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। তিনি একেবারেই একজন সাদা মনের মানুষ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে বলেন, ‘আমি প্রাপ্য নই এমন একটি টাকাও যেনো আমার পকেটে না আসে।’ সুতরাং তাঁর সততা নিয়ে কারও মনে কোন সন্দেহ নেই।
তাঁর যোগদানের পর দীর্ঘ প্রায় চার বছরে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় একদিনের জন্যও বন্ধ থাকে নি। বিভিন্ন বিভাগে বিরাজমান সেশন জট ধীরে ধীরে কমিয়ে এনেছেন। শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের মাঝে এক সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছেন মাননীয় উপাচার্য। উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান-এর পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সৃজনশীল সংগঠন গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব, ডিবেটিং সোসাইটি, ক্যারিয়ার ক্লাব, উইমেন পিস ক্যাফে অন্যতম।
উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান শুরু থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক, অবকাঠামোসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। একনেক সভায় তিনি ৪৯০ কোটি টাকার উন্নয়ন বরাদ্দ ৮৪০ কোটি টাকায় উন্নীত করার ক্ষেত্রে তাঁর নিরলস প্রয়াস একটি অনন্য ঘটনা।
১৫একর জমি অধিগ্রহণ করে ৪২ একরের ক্যাম্পাসকে ৫৭ একরে উন্নীত করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান। আরও ১৫০ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য তিনি জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই আরও ১৫০ একর জমি অধিগ্রহণ সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদী।
ইতোমধ্যেই আরও ১০টি ভবন নির্মাণের টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ১০তলা একাডেমিক ভবন, ১০তলা আবাসিক ভবন, ৩তলা টিএসসি কাম মাল্টিপারপাস হল কাম জিমনেসিয়াম, ১০তলা ইউটিলিটি (ডরমিটরি) ভবন ২টি, ১০তলা কর্মচারী কোয়ার্টার( ১১-১৬ গ্রেড), ১০তলা কর্মচারী কোয়ার্টার( ১৭-২০ গ্রেড), ৫তলা প্রশাসনিক ভবন, ৬তলা ক্লিনার্স ভবন নির্মাণ এবং ৫তলা পর্যন্ত মেডিকেল সেন্টারের সম্প্রসারণ।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে ২০২০ সনের ১৭ মার্চ হতে সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রবল ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও তিনি তাঁর মতো করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করতে পারেন নি। করোনা মহামারি না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় আজ অনেক দূর এগিয়ে যেত। তবে তিনি কখনই থেমে থাকেন নি। করোনা মহামারির সময়েও তিনি ক্যাম্পাসে অবস্থান করেছেন এবং যেকোন প্রয়োজনে অফিসে এসেছেন। তিনি বড় কোন ছুটিতেও ক্যাম্পাস ছেড়ে যান নি। এমনকি ঈদের সময়ও তিনি ক্যাম্পাসে অবস্থান করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে তাঁর মতো সুযোগ্য প্রশাসককে আরেকবার কাজ করার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত ও কাক্সিক্ষত।