শিরোনাম

South east bank ad

বরগুনায় ৩৭ টি ব্যারাকের ১৯ বছরেও করা হয়নি সংস্কার

 প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা) :

বরগুনা জেলার ৬ টি উপজেলায় তৈরিকৃত ভূমিহীন মানুষের জন্য ৩৭ টি ব্যারাকের সংস্কার না করায় নাজেহাল অবস্থায় বসবাস করছে অসহায় ও ভূমিহীন পরিবারগুলো।

২০০২ সালে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় দেশের পাঁচটি উপজেলায় ৭শ' ৩০ টি ব্যারাক নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে বরগুনা সদর-১৫টি, পাথরঘাটায়-৮ টি, আমতলীতে- ৬ টি, তালতলীতে ৬ টি ও বেতাগীতে ২ টি।

নির্মাণের পর ১হাজার ৮শ' ৯টি হতদরিদ্র পরিবারের মাথাগোঁজার ঠাঁই হয়। তবে নির্মাণের দীর্ঘ ১৯ বছর পর অবকাঠামোগত সংস্কার না হওয়ায় অধিকাংশ ব্যারাক বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।

প্রতিটি ব্যারাক জানালা-দরজা, টিনের চালা, পাকের ঘর ও বাথরুমসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। এতে বৃষ্টি কিংবা প্রাকৃতিক বিভিন্ন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যারাকে বসবাসকারী অসহায় মানুষগুলো।

এসব ব্যারাকে বসবাসকারী পরিবার সূত্রে জানা গেছে- তাদের নিজস্ব কোন জমি না থাকায় মানুষের বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছিল। তবে সরকারকর্তৃক তৈরি করে দেয়া ব্যারাক তাদের জন্য একটু হলেও মাথা গোঁজার জায়গা করে দিয়েছে। অথচ ঘরের বেড়া ও মাথার উপরে টিনের চালা অনেক বছর আগেই বন্যায় উড়িয়ে নিয়ে গেছে। কেউ খোঁজ খবর না নেয়ায় অসহায় অবস্থায় এভাবে বসবাস করছে এসব অসহায় মানুষগুলো।

কিন্তু ১৯ বছরেও তাদের আর কোনো খোঁজখবর করেননি কেউ। ঘরের জায়গা থাকলেও নেই মাথার উপরে চাল। দিন এনে দিন খাওয়া এই মানুষগুলো নিজেদের এক মুঠো খাবার যোগাতেই কষ্ট হয়ে যায়। ফলে ঘরের মাথার উপরে ছাদ দিতে টিনের বদলে পলিথিনই ব্যবহার করছেন।

বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি সিদ্দিক ফকির বলেন- ১ নং বদরখালী ইউনিয়নের কুমড়াখালী ফুলতলা আশ্রয়ন প্রকল্পটি ২০০৬ সালে তৈরি হয়। এখানে ৩২০ টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তবে বিভিন্ন বন্যায় এ প্রকল্পে বসবাসরত পরিবারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।

তিনি আরো বলেন- আশ্রয়ন প্রকল্পটিতে নিরাপদ পানির অভাব রয়েছে। ফলে আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসরত বিশেষ করে নারীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাছাড়া বেরিবাধ না থাকায় নদীর পাড়ে হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে জোয়ারের পানিতে আশ্রয়ন প্রকল্প প্লাবিত হয়ে থাকে। এতে করে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসরত অসহায় এই পরিবারগুলো।

এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও বরগুনা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন- আশ্রয়ন প্রকল্প নিয়ে প্রাক্কলন তৈরি করছেন। এটি তৈরি হলেই সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চাইবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।

তিনি আরো বলেন- বরাদ্দ আসা মাত্রই আশ্রয়ণ প্রকল্পের সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে। আশা করছি অচিরেই সমস্যা থেকে উত্তরণ মিলবে আশ্রমে বসবাসকারী অসহায় পরিবারগুলোর।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: