ফলোআপ: সংবাদ প্রকাশের পর থানায় ডেকে মামলা নিলেন ওসি
এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা) :
বরগুনার পাথরঘাটায় একটি স্কুলের ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীকে জোরপূর্বক আপত্তিকর ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করে ভিডিও শেয়ারিং এ্যাপ টিকটকে ছড়িয়ে দিয়েছে একই ক্লাসের সহপাঠি নাঈম।
ছাত্রীর অভিভাকদের অভিযোগ- এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশের সহযোগীতা পাওয়া যায়নি। সহযোগীতা না পেয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিল ওই ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার মা।
এ নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ওই স্কুল ছাত্রীর মা রুমা বেগমকে থানায় ডেকে নিয়ে মামলা নিয়েছেন পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল বাশার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ সরকার।
তিনি জানান- ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা মোসাঃ রুমা আক্তার বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন ২০২০ এর ১০ তৎসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন- ২০১৮ এর ২৯(১)/৩৫ পাথরঘাটা থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলা নং -২৭।
জানা গেছে- বখাটে নাঈম তার একই ক্লাসের সহপাঠী এক ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করে আসছিল। এ নিয়ে এক বছর আগে নাঈমের মামা ইউসুফের কাছে নালিশ করেও কোন সমাধান পাননি ভুক্তভোগী পরিবারটি।
পরে গত বুধবার ওই ছাত্রীকে নিয়ে একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় বখাটে নাঈম। বিষয়টি ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানার পরে মা রুমা বেগমকে বলেন।
এমন আপত্তিকর ঘটনা ঘটার পরে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানালে তিনি বিচার করবেন বলে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। প্রধান শিক্ষক নাঈমের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে ব্যার্থ হন।
গত শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে পাথরঘাটা থানায় গিয়ে বিষয়টি ওসি আবুল বাশারকে ঘটনার বর্ণনা দেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী ও তার মা। এ বিষয়ে মামলা করবেন বলেও জানান মা রুমা বেগম। কিন্তু ওসি দীর্ঘক্ষণ তাদের বসিয়ে রেখে পরে আসতে বলে পাঠিয়ে দেন। আবারও মামলা করার কথা জানালে তিনি ফিরিয়ে দিয়ে বলেন (ব্যক্তিগত কার্ড ধরিয়ে দিয়ে) পরে যোগাযোগ করতে।
বখাটে নাঈম উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাজির খাল গ্রামের সৌদি প্রবাসী সগির খানের ছেলে। সগীর খানের স্ত্রী ছেলে নাঈমকে নিয়ে পাথরঘাটা পৌর শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাথরঘাটা সার্কেল) তোফায়েল হোসেন সরকার জানান- শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে রুমা বেগম বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখ করে পাথরঘাটা থানায় একটি মামলাটি দায়ের করেছেন। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা মাঠে নেমেছি।