শিরোনাম

South east bank ad

সান্তাহার জংশনে ১৪৩ বছর পর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু

 প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :

বাংলাদেশে রেলওয়ের প্রাচীন ও বৃহত্তম জংশন বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার স্টেশন। ১৮৭৮ সালে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই জংশন স্টেশনে ১৪৩ বছর পর সীমানা প্রাচীরের কাজ শুরু হয়েছে। সীমানা প্রাচীর নির্মাণ সম্পন্ন হলে কিশোর গ্যাংয়ের বিচরণ ও গরু, ছাগলসহ স্টেশনে অনুপ্রবেশকারীরা অবাধে প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া সীমানা প্রাচীর নির্মাণ হলে বিনা টিকিটের যাত্রীরা স্টেশনে প্রবেশ করতে এবং বের হতে পারবেন না। ফলে স্টেশনটির আয় বৃদ্ধি পাবে।

রেলওয়ে সূত্রে জানাযায়, ১৮৭৮ সালে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত জংশন স্টেশনটি শুধু ব্রডগেজ লাইনে চলাচলের সময় সান্তাহার স্টেশন নামে পরিচিত ছিল। পরে ১৯০০ সালে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার যোগাযোগ সহজতর করার লক্ষ্যে সান্তাহারকে সংযুক্ত করে পূর্ব দিকে আরো একটি মিটারগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হয়। তখন থেকে স্টেশনটি সান্তাহার জংশন স্টেশনে পরিণত হয়। ত্রিমুখি রেলের সংযোগস্থল এবং দুই জেলার মোহনায় অবস্থিত স্টেশনটির নানা দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে এই রেলওয়ে স্টেশনটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৬ টির মতো আন্তঃনগর, মেইল ও সাধারণ ট্রেন চলাচল করে। প্রতি বছরে কোটি কোটি টাকা আয় হলেও আধুনিকতার ছোয়া লাগেনি এ স্টেশনে। বরং পকেটমার ও মলম পার্টির সদস্যদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ট্রেনে আসা যাত্রীরা। এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি রেল বিভাগ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ স্টেশনটির চারপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেছে।

সীমানা প্রাচীর নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস আনছারী এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার সুলতান মাহমুদ রুবেল বলেন, স্টেশনের দুপাশে ১৯ হাজার বর্গফুটের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজটি চলছে। পূর্ব দিকে ইটের সীমানা ও পশ্চিম দিকে রেলফেনশিং প্রাচীরের কাজ চলমান রয়েছে। সীমানা প্রাচীরে দুটি প্রবেশদ্বার থাকবে। শিগগিরই কাজটি সম্পন্ন হবে।

সান্তাহার পৌরসভার প্যানেল মেয়র জার্জিস আলম রতন জানান, সীমানা প্রাচীর না থাকায় পকেটমার ও ছিনতাইকারিরা এ স্টেশনে অবস্থান নিয়ে যাত্রীদের পকেট কাটা এবং তাদের কাছে থাকা মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে সহজেই পালিয়ে যেতো। এছাড়া বাহিরের ভিক্ষুক ও ছিন্নমূল মানুষরা সহজেই প্রবেশ করে বিচরণ করতো। এই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ হলে যাত্রী সাধারণরা এসব নানা ধরনের হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পাবে।
সান্তাহার জংশন স্টেশনের স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম ডালিম বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে ৫০টি স্টেশনে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সান্তাহার জংশন স্টেশন একটি। এটি নির্মাণ হলে প্রথম শ্রেণির এ স্টেশনে অবাঞ্ছিত লোকজন ও বিনা টিকিটের যাত্রীরা প্রবেশ করে অবস্থান নিতে পারবেনা। ফলে স্টেশনটি একদিকে যেমন পরিষ্কার থাকবে অন্যদিকে স্টেশনটির আয়ও বাড়বে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: