শিরোনাম

South east bank ad

অবৈধ সার মজুদের দায়ে ব্যবসায়ীকে জরিমানা

 প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মো. রাকিব হোসাইন রনি, (লক্ষ্মীপুর) :

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে অবৈধভাবে (৪০০ বস্তা) ২০টন সার মজুদ করায় বিটুল চন্দ্র সাহা নামে ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর)সন্ধ্যায় রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)আবদুল মোমিন নিজ কার্যালয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে এ জরিমানা আদায় করেন।

বিটুল চন্দ্র সাহা উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী গ্রামের সতেস্ত্র চন্দ্র সাহার ছেলে এবং বাজারের একজন এক কীটনাশক ওষধ ব্যবসায়ী।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের সার পরিবেশক আহাদুর রহমান নামে লক্ষ্মীপুর পৌরশহরের একজন ব্যক্তি। ওই ইউনিয়নে পরিবেশকের নিজস্ব কোন গোডাউন না থাকায় ব্যবসায়ী বিটুলের দোকানে সার মজুদ রাখতেন। কয়েক মাসপূর্বে পরিবেশক আহাদুর রহমান মারা যান, কিন্তু সার মজুদ করা বন্ধ হয়নি ওই দোকানে। ঘটনার দিন(শুক্রবার) সকালে ৪০০ বস্তা সার নিয়ে একটি ট্রাক ব্যবসায়ী বিটুলের দোকানের সামনে অবস্থান করে। এসময় ট্রাক থেকে সারের বস্তাগুলো ওই দোকানে মজুদ করতে দেখে স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি হয়, অনুমোদনহীন একজন ব্যবসায়ীর দোকানে ট্রাকভর্তি সার আসলো কিভাবে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা বিষয়টি রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)আবদুল মোমিনকে অবহিত করেন। তবে এরই মধ্যেই ট্রাক থেকে ১৩০ বস্তা সার বিটুলের দোকানে মজুদ করা হয়ে যায়। এসময় নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও)নির্দেশে উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসার কর্মকর্তা মো. হযরত আলী ওই দোকানের সামনে গেলে ঘটনার সত্যতা পান। এসময় সার আমদানির বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায়, সার মজুদ করা স্থগিত করে ব্যবসায়ী বিটুলকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। পরে অবৈধভাবে সার মজুদ করার অপরাধে ব্যবসায়ী বিটুল চন্দ্র সাহাকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)আবদুল মোমিন। ২০ টন সারের সরকারি ভাবে মূল্য ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বলে জান যায়।

তবে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী বিটুল চন্দ্র সাহা জানান, বর্তমান সময়ম এখন সারের মৌসুম। চর গাজী ইউনিয়নের প্রধান পরিবেশক মৃত-আহাদুর রহমানের ভাই ইয়াসিন রহমান মাসুদ ট্রাকভর্তি সার তার দোকানে পাঠিয়েছেন। তবে তিনি ওই পরিবেশকের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন বলে দাবী করেন।

এদিকে উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. হযরত আলী বলেন, অবৈধভাবে সার মজুদ করার বিষয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। সার আমদানির বৈধ কাগজপত্র চাইলে ওই ব্যবসায় কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ইউএনওর কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। ট্রাক থেকে ১৩০ বস্তা সার নামানো হলেও বাকি ২৭০ বস্তা সার না নামাতে সংশ্লিষ্টদের নিষেধ করা হয়েছে।

এব্যাপারে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল মোমিন বলেন, নিয়ম ভেঙে সার মজুদের অপরাধে ব্যবসায়ী বিটুলকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠালে অপরাধের সত্যতা পাওয়া যায়।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: