শিরোনাম

South east bank ad

আঁড়িয়াল খা নদের পানি বৃদ্ধিতে ভাঙনের সৃষ্টি

 প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

আরাফাত হাসান, (মাদারীপুর) :

মাদারীপুরের আঁড়িয়াল খা নদীর পানি বাড়ার সাথে সাথে বেশ কিছু জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তীব্র স্রোতের ফলে আশেপাশের নিচু জায়গা প্লাবিত হয়ে ভাঙনের শুরু হয়েছে। ভাঙনের ফলে বসতবাড়ি, দোকানপাটসহ ফসলি জমি ও গাছপালা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙনের ভয়ে অনেকেই বাড়িঘর ও দোকানপাট অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। গত ২ দিনেই ২ টি বসতবাড়ি সহ ৩টি দোকান পুরোপুরি বিলীন হয়ে গেছে।
গত মঙ্গলবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহিষেরচর পুরাতন ফেরিঘাট সংলগ্ন কয়েকটি দোকান অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে স্থানীয় লোকজন, এরি মধ্যে নদীতে চলে গেছে কয়েকটি বসতবাড়ি। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে কয়েকটি বসতবাড়ি ও এলাকার মসজিদ সহ আরো ৩০ টি দোকানপাট।

মহিষেরচর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন (৩০) বলেন, প্রতিবছর এই বর্ষার মৌসুম আসলেই ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। বিগত দিনেও এই এলাকার ৩০ থেকে ৪০ টি দোকানপাট নদীতে নিয়ে গেছে। গতবছর বেশ কিছু জিও ব্যাগ ফেলেছিলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন। কিন্তু এইবার এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয় নি তারা। যদি এইভাবে প্রতিবছর নদী ভাঙতে থাকে তাহলে একদিন এই পুরাতন ফেরিঘাট নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

ভাঙনের মুখে থাকা স্থানীয় দোকানদার অওদুদ খাঁ (৫৫) বলেন, আমরা খুব ঝুঁকির মুখে আছি, আমার পাশের তিনডা দোকান গতকাল নদীতে লইয়া গেছে। দোকানগুলায় ২ লাখ টাকার মাল আছিলো। আর মাত্র তিন চাইর হাত ভাঙলেই আমার দোকনডা ও নদীতে চইল্লা যাইবো। বউ পোলাপাইন লইয়া কি খামু আর কই থাকুম, আমাগো মরা ছাড়া আর গতি নাই। সরকার যদি একটা পাকা বান্ধের ব্যবস্থা করতো তাইলে অন্তত ভরসা পাইতাম।

নদীতে বিলীন হওয়া ক্ষতিগ্রস্থ মজনু মোল্লা (৬০) তার বসতবাড়ির জায়গা টা দেখিয়ে বলেন, ওইখানেই আমার গতকাইল ঘর আছিলো নদীতে সব লইয়া গেছে। কোনোমতে মালসামানা লইয়া মানইষের জায়গায় রাখছি। একসময় বড় বড় গাছ আর ৪০ শতাংশ জমি ছিলো আমার এই বাডে ভাঙতে ভাঙতে আমার বাড়িডাও নদীতে লইয়া গেলো। এখন কই থাকমু নিজেও জানি না।

ভাঙনে আরেক ক্ষতিগ্রস্ত আজগর মাতুব্বর (৪৩) বলেন, আমার এইখানে একটা মুরগির খামার ছিলো। ভাঙনের জন্য সরাইয়া নিছি। আমার পাকা ঘর টা ও ভাঙনের মুখে আছে। যদি সরকার এখানে কোনো পদক্ষেপ নেয় তাহলে কয়েকদিনের মধ্যেই আমার মূল বাড়িটাও চলে যাবে।

স্থানীয়সুত্রে জানা গেছে, গত বছর মহিষেরচর (পুরাতন ফেরিঘাট) এলাকায় নদীভাঙন তীব্র হওয়ার পর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মহিষের চরের বেশ কিছু জায়গায় প্রায় ৬০০০ জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেছিলেন।

পাউবোর মাদারীপুর নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এবং অতি দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: