নাটোরে শিয়াল ও সাপ মেরে ইউপি সদস্যের আনন্দ উল্লাস
মো: রবিউল ইসলাম, (নাটোর) :
নাটোরের বড়াইগ্রামে শিয়াল ও সাপ মেরে আনন্দ উল্লাসের অভিযোগ উঠেছে আব্দুল হামিদ নামের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার উপজেলার ইকুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আব্দুল হামিদ স্থানীয় আব্দুল তরফদারের ছেলে ও বড়াইগ্রাম ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিয়াল ও সাপ মারার পর আব্দুল হামিদ সেটি নিয়ে আনন্দ উল্লাস করছে এমন একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়।
এলাকাবাসী জানায়, একটি শিয়াল ইকুড়ি মকবুল হোসেন ছেলে মোবারককে (৭) ও মুজিবরের স্ত্রী আলেয়াকে কামড় দেয়। বিষয়টি ইউপি সদস্যকে জানালে তিনি জনগণকে নিয়ে পিটিয়ে ৪টি শিয়াল ও একটি সাপ মেরে ফেলে এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। কিন্তু ইউপি ওই সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসীরা।
স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করে জানায়, প্রায় দুই বছর আগে পাশের গ্রাম বাজিতপুরে দুই শতাধিক শামুকখোলা পাখি মেরে খেয়ে ফেলে কিছু ব্যক্তি। প্রশাসনিক ব্যক্তি বলে তাঁদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এবারও কিছুই হবে না।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ বলেন, শিশু ও মহিলাকে শিয়ালে কামড় দিলে জনগণের চাপে সেগুলোকে মারা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মোমিন আলী বলেন, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী এ বিষয়ে মুচলেকা নেওয়া হবে।
বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, আব্দুল হামিদ না জেনে এই কাজটি করেছে, সেজন্য তাঁকে এ বিষয়ে মুচলেকা দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া পাশের গ্রাম বাজিতপুরে শামুকখোলা পাখি মারার ঘটনার সময়ও মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।