শিরোনাম

South east bank ad

বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ১৫ দালালের জেল

 প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত ও র‌্যাব। অভিযানে ১৫ দালালকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- প্রদান করা হয়েছে।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রিপন বিশ্বাস। এ সময় র‌্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার সোহরাব হোসেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত জানান, সাধারণ রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে দ-বিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় ১৩ জনকে এক মাস এবং দুই জনকে ১৫দিন করে কারাদ- প্রদান করা হয়েছে।

এক মাস করে জেল হয়েছে যাদের- বগুড়া শহরের মালগ্রাম এলাকার মৃত আইনুলের ছেলে মইনুল ইসলাম (২১), গাবতলী উপজেলার ডোবা এলাকার মৃত জয়নালের ছেলে দুলু মিয়া (৩০), শহরের নামজগড় এলাকার মৃত নন্দনালের ছেলে অনুরাগ(৩৮), দুপচাঁচিয়া উপজেলার বেলাল শেখের ছেলে বাপ্পি শেখ (২২), শাজাহানপুর উপজেলার কাজলগেইট এলাকার আফতাব হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২২), শাজাহানপুরের চারগুইরপূর্ব পাড়া এলাকার এনামুল হকের ছেলে সাকিব হোসেন (২০), সোনাতলা উপজেলার দিগদাইড় এলাকার মৃত গুধা ম-লের ছেলে মাসুম বিল্লা (২২), শাজাহানপুরের ফুলদিঘী এলাকার মোতাজ্জেলের ছেলে মিল্লাত হোসেন (২৫), শাজাহানপুরের মোল্লাপাড়া এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৫), সদরের ধনিয়া এলাকার মৃত জয়দেব চন্দ্র রায়ের ছেলে সনি চন্দ্র (৩৮), সদরের চাদমা সবলপুর এলাকার মৃত বুলুর ছেলে জাহিদ (৫২), গাবতলী উপজেলার উনুচুয়াক এলাকার মৃত বালু প্রামানিকের ছেলে ফজল (৪৮) এবং গাবতলী উপজেলার তেলীহাট এলাকার আঃ কাদেরের ছেলে সফিকুল ইসলাম(৪০)।

এছাড়া ১৫দিন করে কারা দ-িত হওয়া দুই জন হলেন, সদরের কর্ণপুর এলাকার মৃত তোজাম্মেল হোসেনের ছেলে নুর হোসেন (৬০) এবং শাজাহানপুরের রানিরহাট এলাকার হেলালের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৩)।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রিপন বিশ্বাস বলেন, ‘সাড়ে ৫ ঘন্টার অভিযানে ১৫ দালালকে কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। এসব দালাল চক্রের মাধ্যমে সাধারণ রোগীরা প্রতারিত হয়ে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

র‌্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার সোহরাব হোসেন বলেন, বগুড়া শজিমেকে সব শ্রেণির মানুষ এখানে চিকিৎসা নিতে আসে। নামমাত্র মূল্যে এখানে রোগীদের সেবা দেওয়া হয়। এই সঙ্গ বদ্ধ দালালচক্র হাসপাতালে আসা রোগীদের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে অতিরিক্ত টেস্ট ও বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়াসহ প্রতারিত করে এবং দালালি করে সরকারি হাসপাতালে সেবা গ্রহণ থেকে বিরত রাখে এবং বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তাদেরকে নিয়ে যায়। সরল মনে রোগীরা সেখানে গিয়ে প্রতারিত হয়।

তিনি আরও বলেন, এ অভিযানের ফলে সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে দালালের দৌরাত্ম কমে যাবে এবং জনগণ নির্বিঘেœœ সরকারি হাসপাতালে উন্নত মানের সেবা পাবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: