চুয়াডাঙ্গায় জেলা পুলিশ এর ওপেন হাউজ ডে, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বিট পুলিশিং সমাবেশ
‘বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি
নিরাপদ সমাজ গড়ি’
বিট নং-০৭, ৩নং কুতুবপুর ইউনিয়নের আয়োজনে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব, মিথ্যা প্রচার, সাইবার বুলিং, কিশোর গ্যাং ও নারীর প্রতি ডিজিটাল ভায়োলেন্স বিরোধী বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার বলেন, বিট পুলিশিং নিঃসন্দেহে ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতন বিরোধী সচেতনতা সৃষ্টিতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রতিটি বিটের নিজস্ব একটি ফেইসবুক পেইজ খোলা হয়েছে। প্রতিটি বিটে বিট অফিসারের নাম পদবিসহ সরকারি মোবাইল নম্বর প্রদান করা হয়েছে। যার দরুন স্ব- স্ব বিট আওতাধীন জনসাধারণ খুব সহজেই পুলিশের নিকট তাদের সমস্যা গুলি বলতে পারবেন এবং দ্রুত পুলিশী সেবা পাবেন। নারী ধর্ষনসহ যে কোনো প্রকার নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে সমাজের সকল স্তরের মানুষের মধ্যে ব্যাপক গণজাগরণ সৃষ্টি করতে এবং নির্যাতিত নারী ও শিশুর পাশে থাকতে সবাইকে আহবান জানান। নারী ও শিশু নির্যাতনসহ যে কোনো প্রকার অপরাধের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ সোচ্চার রয়েছে। সাধারণ মানুষের সহযোগিতা ও সমর্থনে এ ধরণের অপরাধ নির্মূলে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ পুলিশ।
ওপেন হাউজ ডে
আজ মঙ্গলবার ৩১ আগস্ট বিকালে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের আয়োজনে কুতুবপুর বাজারে ওপেন হাউজ ডে ২০২১ অনুষ্ঠিত হয়।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
মুজিববর্ষে অঙ্গীকার করি, সোনার বাংলা সবুজ করি
কুতুবপুর রক্তদান সংগঠনের সদস্যবৃন্দদের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উপলক্ষে কুতুবপুর প্রাইমারি স্কুল মাঠে ফলজ বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে এ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের সম্মানিত প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম।

শোকের মাস আগস্ট। জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, 'পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগনে যুবনেতা ও সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিণী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়স্বজন। সেনাবাহিনীর কিছু সংখ্যক বিপদগামী সদস্য সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া। সেদিন অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নোবেল জয়ী পশ্চিম জার্মানীর নেতা উইলি ব্রানডিট বলেন, মুজিবকে হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে তারা যে কোনো জঘন্য কাজ করতে পারে।
আগস্ট মাস এলেই মনে পড়ে যায় সেই ভয়াবহ স্মৃতি, যা আমাদের বেদনার্ত করে তোলে। যে বিশাল হৃদয়ের মানুষকে কারাগারে বন্দি রেখেও স্পর্শ করার সাহস দেখাতে পারেনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, অথচ স্বাধীন বাংলার মাটিতেই তাকে নির্মমভাবে জীবন দিতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার সেই ষড়যন্ত্রের নীলনকশা আজও একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। জাতির পিতাকে হারানোর সেই দুঃসহ স্মৃতি দীর্ঘ কয়েক যুগ বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছোট মেয়ে শেখ রেহানা।
পরবর্তীকালে শেখ হাসিনার বারবার প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট এই শোকের মাসেই গ্রেনেড হামলায় হত্যার চেষ্টা করা হয় জাতির জনকের কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ভাগ্যক্রমে সেদিন তিনি বেঁচে গেলেও এ ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী, আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
দ্য টাইমস অব লন্ডনের ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট সংখ্যায় উল্লেখ করা হয় ‘সবকিছু সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকে সব সময় স্মরণ করা হবে। কারণ তাকে ছাড়া বাংলাদেশের বাস্তব কোনো অস্তিত্ব নেই। একই দিন লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের লাখ লাখ লোক শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকাণ্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে।’
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম, শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ সাজিদ হোসেন, চুয়াডাঙ্গা সদর থানা অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান, ৩নং কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান (মানিক) সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।