শিরোনাম

South east bank ad

রাবি অধ্যাপক ড. তৌফিক ইকবালের মৃত্যুতে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যদ্বয়ের শোক প্রকাশ

 প্রকাশ: ৩০ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

আমজাদ হোসেন শিমুল, (রাজশাহী ব্যুরো) :

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমী এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. তৌফিক ইকবালের মৃত্যুতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার এবং উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক ড. চৌধুরী এম. জাকারিয়া ও অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

সোমবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ প্রশাসক ড. আজিজুর রহমান শামীম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- অধ্যাপক ড.ইকবাল সোমবার দুপুর পৌনে ২ টায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৪৯ বছর। তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত ছিলেন। ঢাকা থেকে আজ সোমবার তাঁর মরদেহ নিজ জেলা ভোলায় নিয়ে যাওয়া হবে এবং মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ভোলা কোর্ট মসজিদে জানাজা শেষে শিবপুরের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে।

উপাচার্য এ প্রতিভাবান শিক্ষক ও গবেষকের কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণায় অবদান স্মরণ করে বলেন, মানুষের মৃত্যু অবধারিত হলেও তাঁর এ অকাল মৃত্যু বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

অধ্যাপক ইকবাল ১৯৭২ সালে ভোলা জেলার সদর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৩ সালে কৃষি প্রকৌশলে বিএজি (অনার্স) এবং ১৯৯৫ সালে ফার্ম পাওয়ার এন্ড মেশিনারী বিষয়ে এমএস ডিগ্রী লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি অস্ট্রেলিয়ার লা ট্রোব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১২ সালে মৃত্তিকা বিজ্ঞান ও উদ্ভিদ পুষ্টি বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর জার্মানি, ভারত, চীন ও নেদারল্যান্ডস থেকে বিভিন্ন পিজিটি কোর্সও সমাপ্ত করেন।

তিনি ২০০৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে যোগ দেন ও ২০১৩ সালে প্রফেসর পদে উন্নীত হন। রাবিতে অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি তুরস্ক ও জার্মানির দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কাজ করেছেন।

অধ্যাপক ইকবাল বিশের অধিক মাস্টার্স (থিসিস) গবেষণা তত্ত্বাবধান করেছেন। দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পিয়ার-রিভিউড জার্নালে তাঁর পঞ্চাশের অধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০১৮ সালে ইউজিসি অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছিলেন। তাঁর কয়েকটি গবেষণা প্রকল্পের কাজও চলমান ছিল।

মৃত্যুকালে তিনি তাঁর স্ত্রী, মাতা, দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত এক কন্যা এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: