অবৈধ জাল উদ্ধার করাই আমার প্রথম কাজ : জেলা মৎস্য কর্মকর্তা
এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা) :
বিভিন্ন পরিকল্পনা ও নতুন কিছু উদ্ভাবনী বিষয় নিয়ে এগিয়ে যেতে চান। মৎস্য সেক্টরকে আরেকটু বেগবান করার লক্ষ্যে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বরগুনা জেলায় অবৈধ জাল উদ্ধারে আমার প্রথম দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করেছি। কেননা ইলিশ ও অন্যান্য সকল ধরনের মাছ প্রজননে প্রথম ও প্রধান বাঁধা অবৈধ কারেন্ট জাল।
ইলিশের চাহিদা বাড়াতে এমন উদ্যোগের সাথে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব।
শনিবার সকাল ১০ টার দিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে (২৮ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় বরগুনা সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম, দৈনিক দ্বীপাঞ্চল পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ মোশারফ হোসেন, দৈনিক সৈকত সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি জহিরুল হাসান বাদশা, জাকির হোসেন মিরাজ, ইফতেখার শাহিন, বরগুনার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন ফসল, একাত্তর টেলিভিশন এর জেলা প্রতিনিধি ইমরান হোসেন টিটু, দীপ্ত টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি শাহ আলী, দৈনিক দ্বীপাঞ্চল পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার ও বিডি ফিনান্সিয়াল নিউজ 24 ডটকমের বরগুনা জেলা প্রতিনিধি এম.এস রিয়াদ সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ওপেন ফ্লোরে বক্তারা তাদের বক্তব্যে জেলেদের সমস্যা ও সমাধান, মৎস্য আহরণে সফলতা অর্জনে করনীয় বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণে মতামত ব্যক্ত করেন।
যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- বাংলাদেশে অবরোধ চলাকালে ভারতের মাছ ধরার ট্রলার অনুপ্রবেশ করে দেশের মৎস্য সেক্টরকে ধ্বংসের পথে ফেলে দিচ্ছে। দৈনিক দ্বীপাঞ্চল পত্রিকার সম্পাদক মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন- অবরোধ চলাকালে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের সঠিক প্রণোদনা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জাল না পুড়িয়ে আটক রাখা উচিত। সেইসাথে অবরোধ চলাকালে মাছ না ধরা মর্মে মুচলেকা রাখতে হবে।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে বরগুনা জেলা মৎস্য অফিস নানাবিধ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। যা একে একে বাস্তবায়ন করা হবে।