মাধবপুরে নিষিদ্ধ পলিথিনের প্রকাশ্য ব্যবহার বাড়ছেই
শেখ জাহান রনি, (মাধবপুর) :
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা সদর বাজারসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন ছোট-বড় বাজারে বাড়ছে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার। ফলে বাড়ছে নানাবিধ সমস্যা।পলিথিন পচনশীল না হওয়ার কারনে মানুষজন পলিথিন ব্যবহার করে যেখানে সেখান ফেলে রাখছে। ফলে এসব পলিথিনের সাথে বাজারের ময়লা আবর্জনা মিশে একদিকে যেমন পরিবেশ দুষিত করছে অপরদিকে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে এইসব পলিথিন ব্যাগ এলাকার বিভিন্ন ড্রেইনের মাঝে ও সোয়ারেজের পাইপের মুখে আটকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। যার ফলে একটু বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন হাট-বাজার তলিয়ে যাচ্ছে।
পলিথিন ব্যাগ ডোবা নালা খালবিলে ফেলে রাখার ফলে তাতে ময়লা আবর্জনা মিশে সৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন রোগব্যাধি ফলে অকালে মৃত্যুবরণ করছে অনেকেই। হুমকির মুখে পতিত হচ্ছে জনস্বাস্থ্য। পলিথিন ব্যাগ মাটির সাথে মিশে মাটির উর্বর শক্তি কমিয়ে দেয় যার জন্য ফসলি জমির ক্ষতিসাধন হচ্ছে।পলিথিনের ক্ষতিকর দিকের কথা ভেবে বাংলাদেশ সরকার ২০০২ সালে প্রথম পলিথিন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সে সময় কাগজের ঠোঙা ব্যবহার বেড়েছিল।কিন্তু বর্তমানে আবার বেড়েছে পলিথিনের ব্যবহার।
সরেজমিনে উপজেলায় বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারের এমন কোন দোকান নেই যেখানে পলিথিনের ব্যবহার হচ্ছে না। প্রকাশ্যে এখন পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার চলছে দেদারছে। ২০০২ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে বলা আছে, পলিথিন ব্যাগ বিক্রয়, প্রদর্শন, মজুদ ও বাণিজ্যিকভাবে বিতরণ করা যাবে না। কিন্তু এরপরও বিভিন্ন ব্যবসায়ী পলিথিন ব্যাগ বিক্রি ও পণ্য পরিবেশনে ব্যবহার করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাধবপুর বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান বেশিরভাগ ক্রেতা বাজারে আসার সময় ব্যাগ নিয়ে আসেন না। সুতা, কিংবা কাপরের তৈরী ব্যাগ দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা বাধ্য হয়ে পলিথিন ব্যাগ কিনে নিয়ে যায়।
এই বিষয়ে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পলিথিন ব্যহারের ক্ষেত্রে জনসাধারনকে আরো সচেতন হতে হবে।আমরা সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এলাকায় মাইকিং করবো এবং বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করবো ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো।