শিরোনাম

South east bank ad

প্রায় ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন রুপে সাজছে মুনসুর আলী পার্ক

 প্রকাশ: ২৫ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

আমজাদ হোসেন শিমুল, রাজশাহী:

৪৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন রুপ পেতে যাচ্ছে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী শহীদ কাপ্টেন এম. মুনসুর আলী পার্ক (ভদ্রা পার্ক)। ১৯৮২ সালে নির্মাণের পর পার্কটি নান্দনিকভাবে গড়ে তুলতে এই প্রথম সংস্কার ও উন্নয়নে কাজ হচ্ছে। ইতোমধ্যেই রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-আরডিএ পুরনো স্থাপনাগুলো ভাঙ্গার কাজ শুরু করেছে। আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে পার্কটি দৃষ্টিনন্দন হিসেবে পুরোপুরি তৈরী হওয়ার কথা রয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে- পার্কটি ঢেলে সাজানো শেষ হলে রাজশাহীতে এটিই হবে বিনোদনের অত্যাধুনিক একটি মাধ্যম।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়- পার্কটি অত্যাধুনিক হিসেবে গড়ে তুলতে এখানে স্থাপন করা হচ্ছে অধুনিক রাইড, পারিজাত পুকুরপাড়কে করা হবে গ্যালারি। এছাড়া থাকছে দৃষ্টিনন্দন বাউন্ডারি ওয়াল, রিটেইনিং ওয়াল, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, অ্যাম্পিথিয়েটার, লেকের উপরে তিনটি স্টিল ব্রিজ তৈরি ও ট্রয় ট্রেন। এছাড়া শিশুদের খেলার সেড, পার্কে ৭০টি বেঞ্চ নির্মাণ করা হবে। জলধারার উপরে তিনটি স্টিল ব্রিজ নির্মাণ, কাঠের প্লাটফমসহ বোর্ডের কাঠামো নির্মাণ ও ওয়াটার বোট থাকবে। শুধু তাই নয়, পার্কজুড়ে থাকবে বনায়ন।

আরডিএ সূত্রে জানা গেছে- ১৯৮২ সালে আরডিএ কর্তৃক বাস্তবায়িত পদ্মা আবাসিক এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১২ দশমিক ৫৬ একর জমির উপরে শহীদ কাপ্টেন মুনসুর আলী পার্ক (ভদ্রা পার্ক) প্রতিষ্ঠা করা হয়। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও এ পার্কের বড় ধরনের সংস্কার বা উন্নয়ন কাজ হয়নি। নগরবাসীর বিনোদন, খেলাধুলা, অনুশীলন, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিবেচনায় নিয়ে শহীদ কাপ্টেন মনসুর আলী পার্কের সৌন্দর্য্যবর্ধন ও আধুনিকায়ন এবং পার্কের সংলগ্ন পারিজাত লেকের উন্নয়নের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। পার্কটিতে সব বয়সের মানুষের হাঁটার জন্য রাস্তা নির্মাণসহ বিভিন্ন ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তাছাড়া শিশুদের জন্য অযান্ত্রিক খেলাধুলার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পার্কটিতে প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য বৃক্ষরোপন, গার্ডেনিং এবং ল্যান্ডস্কেপিং করা হবে।

সূত্র আরও জানায়, প্রকল্পটি ১২ দশমিক ৫৬ একর জমির উপরে নির্মিত হবে। প্রস্তাবিত এ প্রকল্পে ৩৬, ৫২০ দশমিক ৩১ ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন ও ৪৫০ মিটার বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করা হবে। ৪৩০০ মিটার আভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ, ১০২৭৫ দশমিক ৩০ বর্গমিটার ফুটপাথসহ পার্কিং এলাকা বহিপ্লাজা ছাড়াও ১৪২০ মিটার রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হবে। আর ড্রেন নির্মাণ করা হবে ৯৯০৬ মিটার। এছাড়া প্রস্তাবিত এ প্রকল্পে লেকের উপরে তিনটি স্টিল ব্রিজ তৈরি করা হবে। পার্কে ট্রয় ট্রেন চলাচলের জন্য ৩৪২ মিটার পার্ক ট্রেন লাইন স্থাপন করা হবে। শিশুদের খেলাধুলার জন্য বিভিন্ন রাইড স্থাপন করা হবে। নগরীর সবুজায়ন এলাকা বৃদ্ধির জন্য গার্ডেনিং এবং ল্যান্ডস্কেপিং করা হবে।‘ প্রস্তাবিত এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে ৪৭৯৯ দশমিক ৮৬ লাখ টাকা।

আরডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল তারিক বলেন, পার্কটি দৃষ্টিনন্দন হিসেবে গড়ে তুলতে একটি প্রকল্প পাস হয়েছে। প্রকল্পটির মেয়াদকাল জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত। তবে করোনার কারণে সঠিক সময়ে কাজ শুরু হয়নি। তবে ইতোমধ্যেই পার্কটি দৃষ্টিনন্দন করতে আমরা কাজ করেছি। এরই মধ্যে পার্কের পুরনো সবকিছু ভেঙ্গে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। পার্কটি পুরোপুরি আধুকায়ন হিসেবে গড়ে উঠলে রাজশাহী নগরবাসীর জন্য নাগরিক সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও বলেন, বিনোদনের জন্য রাজশাহী নগরীরসহ দূরদুরান্ত থেকে জনসাধারণ পার্কটিতে আসতো। ফলে পার্কটিকে ঘিরে আশেপাশে অর্থনৈতিক কর্মকা-ও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে পার্কটির আধুনিকায়নের কাজ সম্পন্ন হলে রাজশাহী নগরীর জনসাধারণের স্বাস্থ্য, পরিবেশগত এবং অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন আরও বেশি ত্বরান্বিত হবে। এছাড়া এটি দৃষ্টিনন্দ হিসেবে নির্মিত হলে বিনোদনের মাধ্যমে নগরীর জনসাধারণের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতি এবং সৌহার্দ আরও বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: