শিরোনাম

South east bank ad

চার বছর আগে ব্রীজ হলেও হয়নি অভিগমন পথ

 প্রকাশ: ২২ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা) :

বরগুনার মাছ বাজার সংলগ্ন খাকদোন নদীর উপর লাকুরতলা ব্রীজের দুই প্রান্তে সংযোগস্থল যেনো মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে।

এলজিইডির তত্বাবধানে প্রায় চার বছর আগে ওই ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও অভিগমন পথ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ব্রীজটির উত্তর পাড়ের লাখ লাখ মানুষ। বহু দিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলেও দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে প্রতিনিয়ত।

পূর্বের সেই আয়রন ব্রীজের কাঠামো পরিবর্তন করে পরবর্তীতে এটি গার্ডার ব্রীজ নির্মিত হয়। উত্তর দক্ষিণ পাড়ের সাথে জনযোগাযোগ তৈরী করলেও দীর্ঘদিন থেকে অসমাপ্ত রয়েছে ব্রীজের দু'পাড়ের এ্যাপরোচের (অভিগমন পথ) কাজ।

ব্রীজের দক্ষিণ পাড়ের সংযোগস্থল দীর্ঘদিন থেকে রয়েছে খানাখন্দে পরিপূর্ণ। বর্ষা মৌসূমে এই খানাখন্দ থাকে পানি ভর্তি কর্দমাক্ত। প্রতিদিন এখান থেকে যাতায়াত করছে স্কুলগামি ছোট ছোট শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ। ফলে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণীর পথচারীরা।

ব্রীজের নির্মান কাজ প্রায় চার বছর পূর্বে শুরু হয়। কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সাধারণ মানুষকে পদে পদে ভোগান্তি দিয়ে মন্থর গতিতে বছরের পর বছর ধরে এ ব্রীজের কাজ শেষ করেন।

কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, এখনও শেষ হয়নি ব্রীজের দু'পাড়ের এ্যাপরোচের কাজ। একাধীক পথচারীরা অভিযোগ করে বলেন, ব্রীজের দক্ষিণ পাড়ের সংযোগস্থল মূল ব্রীজ থেকে এ্যাপরোচ রয়েছে প্রায় ৩-৪ ফিট নীচে। যার ফলে প্রতিদিন অহরহ দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা।

এছাড়া দক্ষিণ পাড়ে মাছ ভর্তি ট্রাক প্রতিদিন রাতে ব্রীজের উপর মাছ খালাস করে। এর ফলে মাছের পঁচা পানি রোদে শুকিয়ে যে দূর্গন্ধের সৃষ্টি হয় তাতে জনজীবন অতিষ্ঠ এবং অনেক রোগ সৃস্টির করনও বটে।

তারা আরও বলেন, এ ব্রীজটি বর্তমানে একটি ভাসমান বাজারে পরিনত হয়েছে। প্রতিদিন ব্রীজের উপর হরেক রকমের দোকানীরা দোকানপাট খুলে দেদারছে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। রয়েছে দুই প্রান্তে মোটরসাইকেল, মিশুক ও অটো রিক্সা স্ট্যান্ড।

স্ট্যান্টটির রিক্সা চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও মোটরসাইকেল স্ট্যান্ড এর সভাপতির সাথে যোগাযোগ করলে তারা একে অপরের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। তারা বলছেন- আমাদের নির্ধারিত কোন স্ট্যান্ড নেই বিধায় ব্রীজের অভিগমন পথে যাত্রী সংগ্রহে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

মাছ বাজারের ব্রীজটির দুই প্রান্তের অভিগমন (অ্যাপ্রোচ) পথ নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী জিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ্যাপরোচের জন্য ওই একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ভিন্ন টেন্ডারে কাজটি দেয়া হবে। আশা করছি আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যে মাছ বাজারের এই ব্রীজটির অ্যপরোচের কাজ শুরু হবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: