রামেক হাসপাতালে কমে আসছে মৃত্যুর সংখ্যাও
আমজাদ হোসেন শিমুল, (রাজশাহী ব্যুরো) :
রাজশাহীতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যার পাশাপাশি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে কমছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত তিন দিন ধরে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডগুলোতে ৯ জন করে রোগী মারা যাচ্ছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৯ জনের ৫ জন করোনায় আক্রান্ত ছিলো। বাকি ৪ জনের তিনজন করোনার উপসর্গ নিয়ে এবং একজন করোনামুক্ত হয়ে পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায় মারা যান।
এদিকে রাজশাহীতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাও দিন দিন কমে আসছে। বুধবার (১৮ আগস্ট) রাজশাহীর দুইটি ল্যাবে জেলার ৩৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। যা আগের দিনের চেয়ে ১ দশমিক ৪২ শতাংশ কমে সংক্রমণের হার ১৫ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। আর মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এর আগে গত সোমবার এ জেলায় সংক্রমণের হার ছিল ১৫ দশমিক ২৭ শতাংশ। এছাড়াও গত রোববার ২৪ শতাংশ, শনিবার ১৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, শুক্রবার ২৯ দশমিক ৫২ শতাংশ, বৃহস্পতিবার ২৫ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং গত বুধবার ছিল ২৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত তিন দিন ধরে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৯ জন করে রোগী মারা গিয়েছে। এই তিন দিনের আগের দিন ১২ জন মারা গিয়েছিলো। আমরা আশা করছি, মৃত্যুর হার দ্রুত আরও কমে আসবে। তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর দুইজন, নাটোরের একজন, নওগাঁর একজন ও পাবনার পাঁচজন। এদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও চারজন নারী। যাদের মধ্যে চারজনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে। বাকিদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে একজন এবং ১১ থেকে ২০ বছর বয়সের মধ্যে একজন।
শামীম ইয়াজদানী আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড ইউনিটে নতুন রোগি ভর্তি হয়েছে ৩০ জন। একই সময় সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২৮ জন। বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটের ৫১৩ বেডের বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন ২৫৪ জন। এদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ২০ জন।
রামেক হাসপাতাল পরিচালক জানান, কোভিড ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগিদের মধ্যে ১৪০ জনের করোনা পজেটিভ রয়েছে। উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছে ৭৪ জন; যাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও করোনামুক্ত হয়েও পরবর্তী নানা শারীরিক স্বাস্থ্য জটিলাতায় চিকিৎসাধীন ৪০ জন।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার বলেন, ‘রাজশাহী জেলায় করোনা আক্রান্তের হারও দিন দিন কমে আসছে। আমরা আশা করছি- কয়েকদিনের মধ্যে জেলায় করোনা আক্রান্তের হার আরও কমবে।’