একটি সেতুর জন্য যুগযুগ ভোগান্তি
এইচ কবীর টিটো, (গফরগাঁও) :
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার টাঙ্গাব ইউনিয়ন ও নিগুয়ারী ইউনিয়নের সাদুয়া এবং পাঁচাহার সহ কয়েকটি গ্রামের মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে বহুযুগ ধরে একটি সেতুর জন্য।গফরগাঁও টু বরমী সড়কের পাশে তেদাইড়া বিলের ওপর একটি সেতুর জন্য আহাজারি করছে কয়েক হাজার মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে । তেদাইড়া বিলের ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে গফরগাঁও পাগলা সদর ও গফরগাঁও নিগুয়ারী ও টাঙ্গাব ইউনিয়নের গ্রাম গুলোর হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
সাদুয়া ও পাঁচাহার এলাকার মানুষেরা বলেন, নির্বাচন এলেই এলাকার জনপ্রতিনিধিরা এখানে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। নির্বাচন শেষ করার পর আর প্রতিশ্রুতির কথা মনে থাকে না।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, প্রায় ২০ বছর ধরে এলাকাবাসীর চাঁদায় নির্মিত স্বপ্নের বাঁশের সেতু ( সাঁকো)নাম দিয়ে মনে মনে রসগোল্লা চেটে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন যুবক- বৃদ্ধরা। তাঁরা জানান, শত শত ছাত্র -ছাত্রী স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা আসা যাওয়া করে এই নড়বড়ে সাকোর উপর দিয়ে। থানা পুলিশ ও পথচারীরা শিশুরা ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে এই সাকো দিয়ে পারাপারে প্রতিনিয়তই দূর্ঘটনায় পড়ছে । প্রতিদিন এ পথে পাগলা থানার সদরের পাঁচাহার, ছাপিলাম,বারইহাটি এবং নিগুয়ারী ইউনিয়নের অনেক গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সেখানে সপ্তাহে হাট বসে। এ দুদিন দূরদূরান্ত থেকে সবজি নিয়ে এসে কৃষকেরা সাঁকো পার হতে ভোগান্তির শিকার হন। সঙ্গে গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা। সাঁকোটির ঐ পাড়ে টাঙ্গাব পুলেরঘাট বাজার সহ স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে নদীর এপার-ওপারে যেতে হয়। যান চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় অসুস্থ মানুষকে গফরগাঁও উপজেলা শহরে নিয়ে আসতে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
আবুল কাসেম (৬০) বলেন, ‘আমি এই সাঁকো দিয়ে হেঁটে যেতেও ভয় পাই। একদিন সাঁকো থেকে নিচে পড়ে গিয়েছিলাম।’
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের সাঁকোটির দুই পাশে রেলিং ভাঙ্গা। সেটি উঁচু-নিচু অবস্থায় আছে। চলার সময় সেটি দোলে।
সাদুয়া,পাঁচাহার এলাকার শিক্ষার্থীরা অভিযোগ- অভিমানে বলেন, সাঁকো পার হয়ে কলেজে যেতে হয়। অনেকে প্রায়ই সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় পানিতে পড়ে যায়।
টাঙ্গাব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন সাগর বলেন, ওই স্থানে সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । কিন্তু সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্মাণ প্রকল্পের সব কিছুই সম্পূর্ণ করা হয়েছে। দ্রুতই এর একটা ফল পাওয়া যাবে।করোনার জন্য কাজ টি সম্পূর্ণ হতে বিলম্ব হচ্ছে।