বরগুনায় চায়ের দোকানে জমে উঠেছে আড্ডা
এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা) :
করোনা একটি মহামারীর নাম। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছে এক আতঙ্ক। যমদূত হয়ে কেড়ে নিয়েছে লক্ষ মানুষের প্রাণ। কেউ হারিয়েছে পিতাকে, কেউ হারিয়েছে মাতা। আবার কেউবা ভাই, বোন কিংবা বন্ধুদের। প্রিয়জনের মুখটি শেষবারের মতো দেখা হয়নি অনেকেরই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খোঁজ থাকলেও নেই সম্মুখ কোন যোগাযোগ। আজ দীর্ঘদিন বন্ধুর সাথে বন্ধুর দেখা নেই। খোঁজ নেয়া হয়নি আত্মীয়-স্বজনের পারিবারিক অবস্থার। অধিক সময় ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরসমূহ। দেশের সকল দোকানপাট বন্ধ থাকায় জমেনি চায়ের দোকানের আড্ডাটাও।
সরকার ঘোষিত দীর্ঘ দিনের লকডাউন শেষে গত ১১ আগস্ট খুলে দেয়া হয়েছে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা, শপিং মল সহ সকল ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া খুলেছে সরকারি-বেসরকারি সকল দপ্তরসমূহ। একটু হলেও প্রাণ ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ। এ যেন এক স্বস্তিদায়ক নিঃশ্বাস।
অনেকদিন পরে স্বাধীন বাতাসে হাসছে বাংলাদেশ। জমে উঠেছে চায়ের দোকানের আড্ডা। নানা গল্পের তালে তালে কেউ খাচ্ছে রং চা, কেউ আবার দুধ চা। টং টং করে বাজছে দোকানীর চায়ের কাপে। এ যেন চায়ের কাপে চামচের মহামিলনের সমারোহ। বহুকাল পরে যেন আলিঙ্গন করছে চায়ের কাপটিতে থাকা গরম পানিতে চা ও চিনি মেশানো চামচটি। প্রাণ খুলে হাসছে ছোটবেলার বন্ধুর সাথে বন্ধু। তারা যে বৃদ্ধ; এটা যেন মাথাতেই নেই।
এ গল্প যেন শেষ হবার নয়। মনে হয় কত শত বছর দেখা হয়নি, কথা হয়নি মন খুলে। আজ মনের তৃপ্তি ও মাধুরী মিশিয়ে মনের সকল কথা ব্যক্ত করায় যেন চায়ের দোকানে বসা ২ বৃদ্ধ বন্ধুর কাজ। কেবল বৃদ্ধি নয় বরং যুবকরাও মেতেছে নানা গল্পে।
এমন হাসি আর গল্প থাকুক প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে, প্রতিটি ঘরে ঘরে। এমন আশাতেই বুক বেঁধে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছে বিশ্ববাসী। ভালো থাকবে মানুষ, ভালো থাকবে দেশ। হাসি ভরা মুখ নিয়ে আবারো পথ চলবে প্রতিটি মানুষ।