শিরোনাম

South east bank ad

রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃতদের ৪০ শতাংশেই রাজশাহীর

 প্রকাশ: ১৩ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

আমজাদ হোসেন শিমুল, (রাজশাহী ব্যুরো) :

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনে ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৪ জন অর্থাৎ ৪০ শতাংশই রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। এছাড়াও এ হাসপাতালের কোরনা ইউনিটে গড়ে প্রতিদিন ১৬ জন রোগী মারা গেছেন।

উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ এ হাসপাতালটিতে রাজশাহী ছাড়াও নাটোর, নওগাঁ, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও জয়পুরহাটের রোগীরা চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। বিশেষ করে যেসব জেলায় আইসিইউ বা ভেন্টিলেশন নেই, সেসব জেলার সদর হাসপাতালের মুমূর্ষু রোগীদের এই হাসপাতালে পাঠানো হয়।

চলতি বছরের এপ্রিল থেকে এ হাসপাতালে রোগীর চাপ সামাল দিতে কর্তৃপক্ষ করোনা ওয়ার্ডের সংখ্যা বাড়িয়ে ১৪টি করে। এতে ৫১৩টি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর বিপরীতে ১০ আগস্ট হাসপাতালে রোগী ছিলেন ৩৮০ জন। তাদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ১৯৭ জন, করোনা নেগেটিভ হয়েও নতুন জটিলতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন ৬৮ জন এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি ছিলেন ১১৫ জন। ওই দিন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন ৪৩ জন।

করোনা রোগীদের জন্য প্রস্তুত সব ওয়ার্ডেই কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া ৬৯টি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা রয়েছে। ভেন্টিলেশনসহ ২০টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে এ হাসপাতালে।

চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনে এই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত ১৬০ জনের মধ্যে ৫৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বাকি ১০২ জন করোনা উপসর্গ ও করোনা নেগেটিভ হয়ে মারা যান। এদের মধ্যে ৮৮ জন পুরুষ ও ৭২ জন নারী।

এই ১০ দিনে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা যাওয়া রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মোট মৃত রোগীর ৪০ শতাংশই রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। মারা গেছেন ১৬০ জন। তাঁদের মধ্যে ৬৪ জনই রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। এই ৬৪ জনের মধ্যে আবার ২৮ জন অর্থাৎ ৪৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ মৃত রোগীই রাজশাহী মহানগর এলাকার।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এএফএম আঞ্জমান আরা বেগম বলেন, ‘রাজশাহী মহানগরে ভাসমান মানুষসহ প্রায় ১০ লাখ লোক বাস করেন। এলাকাটি উপজেলার চেয়ে অনেক ঘনবসতিপূর্ণ। এ জন্য মহানগরে করোনা সংক্রমণের হার একটু বেশি হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় সিটি করপোরেশন এলাকা করোনার প্রথম সংক্রমণের সময় এক মাস করোনামুক্ত রাখা সম্ভব হয়েছিল। এখনো সেই চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সচেতনতামূলক প্রচারণা চলছে।’

জেলা করোনা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, ‘বিধিনিষেধ শিথিল হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কেউ স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করলে আগের মতোই ভ্রাম্যমাণ আদালতে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।’ ডিসি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে নিজের থেকে সচেতন হওয়ার। এটা জরুরি। প্রতিষ্ঠানকে তার কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে তৎপর থাকতে হবে। মার্কেট পরিচালনা কমিটির লোকদের দায়িত্ব নিতে হবে তাদের কর্মচারী এবং খদ্দের যারা আসবেন, তারা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসেন।’

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: