বাগেরহাটে একদিনে টিকা পেল ৫৭ হাজার মানুষ
এস এম সামছুর রহমান, (বাগেরহাট) :
বাগেরহাটে বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে শনিবার সকালে একযোগে ৭৫টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় পরীক্ষামূলক করোনার গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রথমদিনে বাগেরহাট জেলার ৮১টি কেন্দ্রের ২৪৩টি বুথে মোট ৫৭ হাজার মানুষকে গণটিকা দেয়া হয়েছে। সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় কেন্দ্রেগুলোতে টিকা গ্রহীতাদের উপস্থিতি কিছুটা কম। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
বাগেরহাটে প্রতিটি ইউনিয়নে পুরানো ১ নাম্বার ( বর্তমান ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড) ওয়ার্ডের কেন্দ্রে তিনটি বুথে এই টিকা কার্যক্রম চলে। প্রতিটি বুথে ২০০ জনকে করে মোট ৬০০ জনকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে স্বাস্থ্য বিভাগ। একইভাবে দুটি পৌরসভায় তিনটি কেন্দ্রে ৬০০ করে মোট ১৮০০ জনকে টিকা দেয়া হয়।
টিকা গ্রহিতারা বলছেন, সরকার বাড়ির দোরগোড়ায় করোনা টিকা কার্যক্রম শুরু করায় আমাদের উপকার হয়েছে। সকালে ঘুমের থেকে উঠে এসে নিলিবিলি পরিবেশে টিকা নিয়েছি। আগে হাসপাতালে যেয়ে লম্বা লাইনে দাড়িয়ে টিকা দিতে হচ্ছিল। সরকার ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকা দেয়ায় সাধারণ মানুষের দারুণ সুবিধা হয়েছে। সুষ্ঠু পরিবেশে টিকা নিতে পেরে খুশি হয়েছি।
স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, সকাল থেকে বাগেরহাট জেলার ৮১টি কেন্দ্রের ২৪৩টি বুথে মোট ৫৭ হাজার মানুষকে গণটিকা দেয়া হয়েছে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির জানান, বাগেরহাটে ৭৫টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় একযোগে পরীক্ষামূলক গনটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাগেরহাটে প্রথমদিনে প্রতিটি ইউনিয়নে পুরানো ১ নাম্বার ( বর্তমান ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড) ওয়ার্ডের কেন্দ্রে তিনটি বুথে এই টিকা কার্যক্রম চলে। প্রতিটি বুথে ২০০ জনকে করে মোট ৬০০ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। একইভাবে দুটি পৌরসভায় তিনটি কেন্দ্রে ৬০০ করে মোট ১৮০০ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। জেলায় একদিনে ৫৭ হাজার মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। ২৫ বছরের উর্দ্ধে বয়সীরা নিবন্ধন করে টিকা নিতে পারছেন। বয়স্ক, নারী ও প্রতিবন্দ্বিরা টিকা গ্রহণে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীরা এই টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এদের সহযোগিতা করবে রেডক্রিসেন্টের সেচ্ছাসেবকরা। তবে সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় কেন্দ্রেগুলোতে টিকা গ্রহীতাদের উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়লে উপস্থিতি বাড়তে থাকে বলে জানান এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।