শিরোনাম

South east bank ad

ছাগল পালনে তিন বন্ধুর সফলতা

 প্রকাশ: ০৬ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

আব্দুল্লাহ হেল বাকী, (নওগাঁ) :

নওগাঁয় ছাগল পালন করে সফলতা পেয়েছেন তিন বন্ধু। সদর উপজেলার বর্ষা ইউপির মকমলপুর গ্রামের মাঠে গড়ে তোলা হয়েছে উন্নত জাতের ব্লাক বেঙ্গল ছাগল। বর্তমানে খামারে বড়-ছোট মিলিয়ে প্রায় শতাধিক ছাগল আছে।

জানা গেছে, মকমলপুর গ্রামের তিনবন্ধু ইসরাইল হোসেন, লিটন হোসেন ও সাখাওয়াত হোসেন (প্রবাসী)। সাখাওয়াত দেশের বাইরের অবস্থান করছেন। ইসরাইল হোসেন ও লিটন হোসেন খামার দেখাশুনা করেন। ইউটিউবে পশু পালনে বিভিন্ন সফলতার গল্প দেখে উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ জাগে ইসরাইল হোসেনের। এরপর অপর দুই বন্ধুর সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করেন। তারাও ছাগল পালনে আগ্রহ দেখায়।

গত নয় মাস আগে মকমলপুর গ্রামের মাঠে গড়ে তোলা হয় খামার। যেখানে উন্নত জাতের ব্লাক বেঙ্গল ৬০ ছাগল দিয়ে শুরু হয় ছাগল পালন। এর তিনমাস পর ২০ টি ছাগল ৫-৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হয়। খামার তৈরিতে খরচ হয় ছাগল কেনায় ৩ লাখ টাকা, খামারের অবকাঠামোতে ১ লাখ টাকা এবং বিদ্যুৎ খরচ প্রায় ২০ হাজার টাকা।

বর্তমানে খামারে বড়-ছোট মিলিয়ে শতাধিক ছাগল আছে। এরমধ্যে বড় ছাগল ৪০ টি ও বাচ্চা ৬০টি আছে। বাচ্চার মধ্যে ২০ পিস ছাগল ও বাকীগুলো ছাগী। গত শীতে বাচ্চা জন্মের ২০-২৫ দিনে মধ্যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় ২৫ টা বাচ্চা মারা গেছে। ছাগলের খাওয়ার জন্য দেড় বিঘা জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ করা হয়েছে।

উদ্যোক্তা ইসরাইল হোসেন বলেন, বেকার বসে না থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ জাগে। ইউটিউবে দেখা যায় পশু পালন করে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছে। সেখান থেকেই ছাগল পালনে আগ্রহ হয়। প্রথম দিকে ছাগল পালনে কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হলেও পরে ঠিক হয়েছে। বর্তমানে দানাদার খাবার ভূষি ও আটার দাম বেশি। খড়ের দামও বেশি। প্রতিমাসে প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। এ কারণে দানাদার খাবার কমিয়ে দিয়ে ঘাস বেশি দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া হয়। এছাড়া প্রয়োজনে প্রাণিসম্পদের পরামর্শ ও চিকিৎসা নেওয়া হয়।

উদ্যোক্তা লিটন হোসেন বলেন, রাজমিস্ত্রীর কাজ করতাম। ময়মনসিংহ জেলায় কাজ করার সময় কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের পাশে পশু পালনের ওপর এক ঘণ্টার একটা প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। প্রশিক্ষণটা অনেক কাজে দিয়েছে। গত শীতে ব্রুডিং (তাপ) ঠিকমতো না করায় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেক বাচ্চা মারা গেছে। উৎপাদনের মূল যে লক্ষ্য সেটাই হাত ছাড়া হয়ে গেছে। এতে প্রায় ২ লাখ টাকার মতো লোকসান হয়েছে। তবে বর্তমানে খামারে যে পরিমাণ ছাগল আছে কোনো ধরনের অসুবিধা না হলে লাভবান হবো ইনশাল্লাহ।

তিনি বলেন, ধৈর্য্য ধরে মনোযোগ সহকারে খামারে কাজ করতে হবে। কোনো কাজই তড়িঘড়ি করে ফলাফল আসবে না। যারা উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী তাদের অবশ্যই ধৈর্য্য রাখতে হবে। তবেই সফলতা আসবে বলে মনে করি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: