দুশ্চিন্তায় পটুয়াখালীর ভাড়াটিয়া-বাড়িওয়ালা
সুনান বিন মাহাবুব (পটুয়াখালী):
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের ঘোষিত লকডাউনে পটুয়াখালীর ভাড়াটিয়া-বাড়িওয়ালা উভয় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। লকডাউনের ফলে পটুয়াখালীর মধ্যবিত্ত শ্রেণি মানবেতর জীবনযাপন করছে। চাকুরি ও ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জেলার ৬০ শতাংশ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এই অবস্থায় ভাড়াটিয়ারা দিতে পারছেন না বাড়ি ভাড়া। অপরদিকে বাড়ি ভাড়া না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পরেছে বাড়িওয়ালারাও।
জানা গেছে, লকডাউন পরবর্তী আগস্ট মাসের বাড়ি ভাড়া দেয়ার মতো অবস্থা ভাড়াটিয়াদের নেই। শহরের বেশিরভাগ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং বেসরকারী চাকরিজীবীদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রয়েছে শহরের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ব্যবসা এবং চাকুরী ছাড়া তাদের রোজগারের পথ নেই। জুলাই মাসের বেতন ভাতা অনেক প্রতিষ্ঠান দেয়নি অথচ আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ঘরভাড়া দিতে হবে। এদিকে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান করোনার কারণে জুলাই মাসে বেতন দেবে কি না সে অনিশ্চয়তা রয়েছে কর্মজীবীদের মধ্যে। তাই বেশিভাগ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি এবং চাকুরিজীবীরা বাড়ি ভাড়া পরিশোধ করতে পারেনি।
বিপরীতে, পটুয়াখালীতে ৭২ শতাংশ মানুষ ভাড়াটিয়া এবং বাকি ২৮ শতাংশ বাড়ির মালিক। লকডাউনের মতো পরিস্থিতির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া ভাড়াটিয়াদের কারনে দুশ্চিন্তায় পড়েছে এসকল বাড়ির মালিক। মহামারিকালে অনেক নিম্নবিত্ত মানুষকে পটুয়াখালী শহরের বাইরে গিয়ে নিজ গ্রামের বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। তাই পটুয়াখালীর বাড়িওয়ালারা খুব কঠিন সময় পার করছেন। এ বিষয়ে পিটিআই এলাকার বাড়িওয়ালা সাদ্দাম হোসেন বলেন, বাড়ি ভাড়া থেকে পাওয়া অর্থে তিনি তার পরিবার চালান। কিন্তু করোনার কারণে তার তিনটি ফ্ল্যাট গত তিন মাস ধরে খালি পড়ে আছে। দুইটি টিনের ঘর আছে সেগুলোর ভাড়াটিয়ারা গত দুই মাস থেকে ভাড়া দেননি। সবুজবাগের জাকির হোসেনের চারতলা ভবনের চারটি ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়ারা গত তিন মাস থেকে কেউই ভাড়া পরিশোধ করেনি।
এ ব্যাপারে জেলার গন্যমান্য ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি দিনদিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে তাই বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটিয়া উভই খুব কঠিন সময় পার করছেন। সকলের উচিৎ নিজ দায়িত্বে পরিস্থিতি সামলানো।