আড়াইহাজার ফেরিঘাটে দর্শনার্থীদের ভীড়, মানছে না বিধিনিষেধ
মো: ফেরদৌস রহমান (আড়াইহাজার):
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে দেশের ঘোষিত লকডাউন শিথিল করা হলেও ঈদ পরবর্তী সময়ে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এতে করে দেশের গার্মেন্টস সহ সকল প্রকার সরকারি -বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। ফলে লকডাউন কার্যকর করতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব সহ সেনাবাহিনী। জরুরি কাজে শুধু মাত্র এম্বুলেন্স চলাচলের সুযোগ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বসছে মোবাইল কোর্ট। জরিমানা সহ জেল পর্যন্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন দায়িত্বে থাকা ম্যাজিস্টেট।
নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলায়ও লকডাউন কার্যকর করতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী সহ পুলিশ ও বিজিবি। রাস্তায় রাস্তায় টহলে দেখা যায় নির্বাহী ম্যাজিস্টেট সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। আড়াইহাজার ফেরিঘাটে দর্শনার্থীদের ভীড় জমায় সেখানে দুপুর থেকে উপস্থিত ছিলেন আড়াইহাজার উপজেলায় দায়িত্বে থাকা ম্যাজিস্টেট ( ভূমি) জনাব উজ্জ্বল হোসেন। ৫ জনকে বিভিন্ন কারণে জরিমানা করা হয়। সকাল থেকেই ফেরিঘাট এলাকায় মানুষজনের সমাগম বৃদ্ধি পেতে থাকে। অকারণে বাহিরে বের হচ্ছে এসব লোকজন। লকডাউন উপেক্ষা করে তারা ঘুরতে বেরিয়েছে বলে জানা যায়।
উপজেলা ম্যাজিস্টেট ( ভূমি) জনাব উজ্জ্বল হোসেন আমাদেরকে জানান যে, " মানুষ অকারণ ঘুরতে এসেছে। কোনো কারণ ছাড়াই তারা লকডাউন উপেক্ষা করে জড়ো হচ্ছে ফেরিঘাট এলাকায়। আমি খবর পেয়ে এখানে পৌঁছে বিভিন্ন জনকে নানান কারণে জরিমানা সহ শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।ইতিমধ্যে ৫ জনকে জরিমানা করা হয়েছে, এরমধ্যে দুজনকে মাস্ক না পরে গাড়ি চালানোর দায়ে আর একজন মহিলাকে অকারণে বাহিরে আসাতে এবং আরেকজন পুরুষকে অকারণে ঘুরতে আসায়। ফেরিঘাটে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। আমরাও সময়ে সময়ে টহলে থাকবো! সকল প্রকার বহিরাগত প্রবেশ ফেরিঘাট এলাকায় বন্ধ থাকবে।"
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনাব সোহাগ হোসেন সন্ধ্যায় ফেরিঘাটে পরিদর্শনে আসেন। মানুষের ভীড় দেখে তিনি আমাদেরকে জানান, " মানুষকে আরো সচেতন করতে হবে। আমাদের পাশাপাশি আপনারা যারা সংবাদকর্মী রয়েছেন তাদেরও সহযোগিতা আমাদের একান্তভাবে প্রয়োজন। সকলে মিলে লকডাউন কার্যকর করতে ভূমিকা পালন করবো বলে আমরা আশাবাদী। "
মাস্ক ছাড়া অনেক মানুষকে ফেরিঘাট এলাকায় আসতে দেখা যায়। তখন ম্যাজিস্টেটের উপস্থিতিতে তাদের মাস্ক পরিহিত করে ছেড়ে দেওয়া হয়।