ফরিদপুরে মাদক ব্যবসায়ীদের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে থানায় জিডি
জাকির হোসেন (সালথা):
মাদক ব্যবসায়ীদের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে থানায় সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেছেন ফরিদপুরের এক যুবক। ঐ যুবক ফরিদপুর সদরের গেরদা ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের মৃত মোঃ সিরাজ খানের পুত্র ইমরান খান। তিনি শনিবার (১৭ জুলাই ২০২১) ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একই গ্রামের ফারুখ হোসেনের পুত্র রকি ও মৃত হাফিজুর রহমানের পুত্র নাছির মিয়ার বিরুদ্ধে এই জিডি করেন, জিডি নং- ৯৯৩।
অভিযোগকারী ইমরান এ প্রতিবেদককে বলেন, গত ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে এক বন্ধুর সাথে হাটতে বের হই। এ সময় আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করার জন্য তার এক চাচা খালেক মিয়ার সাথে উক্ত অভিযুক্তদের তর্কাতর্কি করতে দেখতে পাই। অভিযুক্তরা আমাকে দেখতে পেয়ে বলে উঠে, “ঐ যে ইমরান, ওরে ধর, ওরে মেরেই ফেলবো, ওর ভাই আমাদের বিরুদ্ধে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে চাঁদাবাজী ও মাদক ব্যবসায়ী বলে অভিযোগ করেছে।” এ কথা বলেই রামদা নিয়ে রকি ও নাছির আমার দিকে ছুটে আসে। এ সময় আমি দৌড়ে পালাতে থাকি এবং আমার চিৎকারে আমার মামা মোঃ মজিবুর রহমান এগিয়ে এসে ওদের হাত থেকে আমাকে রক্ষা করে। তাদের ভয়ে বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় জীবন কাটাচ্ছি।
অভিযোগকারী ইমরান আরো জানান, আমার বড় ভাই দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে লন্ডন থাকে, আমার মেঝো ভাই এবং ছোট বোন দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়া বসবাস করে। কয়েকদিন আগে আমার বাবা মারা গেছে। বর্তমানে আমি পরিবার ও অসুস্থ মা’কে নিয়ে একাই বাড়িতে থাকি। এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রকি ও নাছিরের কারনে আমার জীবনের এখন কোনো নিরাপত্তা নেই। ফরিদপুর প্রশাসনের প্রতি আমার জোড় দাবি, ওদের হাত থেকে আমার জীবনকে রক্ষা করতে চাই।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, রকি ও নাছিরের বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতয়ালী থানা ও কোর্টে বিভিন্ন ধরনের জিডি, অভিযোগ এবং মাদক, চাঁদাবাজী, গাড়ী ভাংচুর, হুমকি, হয়রানিমূলক, মামলা আছে। এরমধ্যে জিডি নং- ১১৩৯ তারিখ- ২০/০১/২০২১ইং, ফরিদপুর পুলিশ অফিস স্বারক নং ৭৬৮/সি, তারিখ ২১/০৬/২০২০ ইং, ফরিদপুর অতিরিক্ত পুলিশ সদর সার্কে স্মারক নং ১২৪৪ এবং কোতয়ালী থানায় জিডি নং- ৬২২, তারিখ- ০৯/১০/২০১৮ইং।
অভিযুক্ত নাছির এ প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। ইমরান আমরা আপন ভাগ্নে হয়, পারিবারিক একটা ঝামেলার কারনে ও এবং ওর ভাই আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ দিচ্ছে। তবে, অভিযুক্ত রকির সাথে মুঠোফোনে ফোন দিলে রিসিভ করেননি।