শিরোনাম

South east bank ad

সাতক্ষীরায় সরকারিভাবে খাদ্য মজুদ সাড়ে ১৫ হাজার মে.টন

 প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এমএ জামান (সাতক্ষীরা):

সাতক্ষীরা জেলায় সরকারিভাবে ১৫ হাজার ৪৭৭ মে.টন খাদ্য-শস্য মজুদ রয়েছে। সরকারের চাহিদার প্রেক্ষিতে এ খাদ্য শস্য সরবারহ করা হয়ে থাকে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত খাদ্য-শস্য অন্য জেলার সরবরাহ করা হয়ে থাকে। জেলার ৭টি উপজেলায় ২৬টি খাদ্য গুদামে ১৬ হাজার ৫০০ মে.টন ধারণ ক্ষমতান অনুকূলে ধানের মজুদ রয়েছে ১ হাজার ৮২৩ মে.টন ৯৩৩ কেজি, চালের মজুদ রয়েছে ১৩ হাজার ৩৭১ মে. টন ৫৭০ কেজি এবং গমের মজুদ রয়েছে ২২৩ মে. টন ২৯০ কেজি।
সাতক্ষীরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে থেকে জানা যায়, সদর উপজেলায় নয়টি খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৬ হাজার মে. টন। এতে মজুদ রয়েছে ৫ হাজার ৩৬৮ মে. টন ৩৯৬ কেজি। মজুদ খাদ্য শস্যের মধ্যে ধান রয়েছে ২৯৬ মে.টন ১৩৩ কেজি, চাল রয়েছে ৪ হাজার ৮৪৮ মে. টন ৯৭৪ কেজি এবং গম রয়েছে ২২৩ মে. টন ২৯০ কেজি।

কলারোয়া উপজেলায় ৩টি খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ২ হাজার মে. টন। এতে মজুদ রয়েছে ২ হাজার ১৫১ মে. টন ২২৪কেজি। মজুদ খাদ্য শস্যের মধ্যে ধান রয়েছে ২০৫ মে.টন ৪৮০ কেজি, চাল রয়েছে ১ হাজার ৯৪৫ মে. টন ৭৪৪ কেজি। এ উপজেলায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ১৫১ মে.টন ২৪৪ কেজি খাদ্য শস্য বেশি থাকলেও নেই গমের মজুদ।

দেবহাটা উপজেলায় ১টি খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ১ হাজার মে. টন। এতে মজুদ রয়েছে ১ হাজার ৫০ মে. টন ৮৯কেজি। মজুদ খাদ্য শস্যের মধ্যে ধান রয়েছে ২৪৩ মে.টন, চাল রয়েছে ৮০৭মে. টন ৮৯ কেজি। এ খাদ্য গুদামে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ৫০ মে.টন ৮৯ কেজি খাদ্য শষ্য বেশি মজুদ রয়েছে। তবে এ উপজেলায় নেই গমের মজুদ।

কালিগঞ্জ উপজেলায় ২টি খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ১হাজার মে. টন। এতে মজুদ রয়েছে ৭৪৪মে. টন ৩৯কেজি। মজুদ খাদ্য শস্যের মধ্যে ধান রয়েছে ১১১ মে.টন ৮০০ কেজি এবং চাল রয়েছে ৬৩২মে. টন ২৩৯ কেজি। এ উপজেলায় গম মজুদ নেই।

শ্যামনগর উপজেলায় ৩টি খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ১হাজার ৫শ মে. টন। এতে মজুদ রয়েছে ৯৫২মে. টন ৪০৫ কেজি। মজুদ খাদ্য শস্যের মধ্যে ধান রয়েছে ১৩৩ মে.টন ২০০ কেজি, চাল রয়েছে ৮১৯ মে. টন ২০৫ কেজি। এ উপজেলায় গম মজুদ নেই।

আশাশুনি উপজেলায় ৩টি খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ২হাজার মে. টন। এতে মজুদ রয়েছে ১ হাজার ৮০৭মে. টন ১৭০কেজি। মজুদ খাদ্য শস্যের মধ্যে ধান রয়েছে ২২০ মে.টন ৩২কেজি, চাল রয়েছে ১ হাজার ৫৭৭ মে. টন ৫ কেজি। গম রয়েছে ৯মে. টন ৮০০ কেজি।

তালা উপজেলায় ৫টি খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৩ হাজার মে. টন। এতে মজুদ রয়েছে ৩ হাজার ৪০৪মে. টন ৩৮৮কেজি। মজুদ খাদ্য শস্যের মধ্যে ধান রয়েছে ৬শ ১৪মে.টন, চাল রয়েছে ২ হাজার ৭৪১ মে. টন ২৬৯ কেজি। গম রয়েছে ৪৯ মে. টন ১১৯ কেজি। এ উপজেলায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি রয়েছে ৪০৪মে. টন ৩৮৮কেজি খাদ্য শস্য।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভা:প্রা:) প্রিয় কমল চাকমা জানা যায়, জেলায় সরকারিভাবে যে খাদ্য-শস্য মজুদ জেলার চাহিদা চেয়ে বেশি। জেলার চাহিদা মিটিয়ে সরকারি চাহিদার প্রেক্ষিতে উদ্বৃত্ত খাদ্য-শস্য অন্য জেলা প্রেরণ করা হয়ে থাকে।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. নূরুল ইসলাম বলেন, জেলায় প্রায় ৪ লক্ষ মে.টন বিভিন্ন প্রকার খাদ্য-শস্য উৎপাদন হয়ে থাকে। সাধারণত দিনে একজন পূর্নবয়স্ক লোক ৪৪২ গ্রাম খাদ্য-শস্য গ্রহণ করে থাকে। সেই হিসাবে জেলায় যে পরিমান খাদ্য-শস্য উৎপাদন হয়ে থাকে তা জেলার বার্ষিক চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মে.টন অন্য জেলায় পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, সরকারিভাবে যে খাদ্য মজুদ থাকে তার চেয়ে কয়েক গুন বেশি মজুদ থাকে কৃষকের ঘরে। বর্তমানে সরকারিভাবে যে খাদ্য-শস্য মজুদ রয়েছে তা সারা বছরের নয়। আরও কয়েকটি মৌসুম আছে সে সময়ও খাদ্য-শস্য ক্রয় করে সরকারিভাবে মজুদ রাখা হয়।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: