শিরোনাম

South east bank ad

চিকিৎসককে পেটানোর ঘটনায় যুবলীগ নেতা সাময়িক বহিস্কার

 প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

রাসেল আহমেদ (ময়মনসিংহ) :

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসককে পেটানোর ঘটনায় যুবলীগ নেতা মাহবুবুল হক মনিকে সাময়িক বহিস্কার কররা হয়েছে।

বহিস্কৃত মাহবুবুল হক মনি মুক্তাগাছা উপজেলার যু্বলীগের সভাপতি ছিলেন।

ময়মনসিংহ জেলা যুবলীগের আহব্বায়ক এড. আজহারুল ইসলাম সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

বহিস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ জেলা যুবলীগের আহব্বায়ক এড. আজহারুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশে মাহবুবুল হক মনিকে যুবলীগ থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দুপুর ২ টার দিকে মাহবুবুল হক সহ ৮ থেকে ১০ জন মিলে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. এ এইচ এম সালেকিন মামুনের রুমে ঢুকে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন ও বিভিন্ন হুমকি দেন। এরপর সবাই মিলে ওই চিকিৎসককে মারধর করেন।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাতে মাহবুবুল হক মনিকে আসামি করে ডা. এ এইচ এম সালেকিন বাদী হয়ে মামলা করেন।

পরে ওই দিন রাতেই যুবলীগ নেতা মাহবুবুল আলম মনিকে (৩৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন সকালে মাহবুবুল হক মনির আরও চার সহযোগী কামরুজ্জামান (৩৫), জুয়েল (২৭), রানা দে (২৬), শরীফকেও (২৫) গ্রেফতার করা হয়।তাদের সবাইকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলা সুত্র জানায়, মারধরের শিকার ডা. এ এইচ এম সালেকিন মামুন ইমারজেন্সিতে কর্মরত ছিলেন। এমতাবস্থায় দুপুর পৌনে ১টার দিকে হাসপাতালের হটলাইনে ফোন দিয়ে মুক্তাগাছা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক মনি পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তার বৃদ্ধ মায়ের করোনা পরীক্ষার জন্য বাসায় গিয়ে নমুনা নেয়ার ব্যাপারে জানতে চান। তখন ডা. সালেকিন জানান, যে বাসায় গিয়ে নমুনা নেয়া আপাতত বন্ধ ও তাকে তার মাকে হাসপাতালে নিয়ে এসে নমুনা দেয়ার পরামর্শ দেন।

এর কিছুক্ষণ পর দুপুর ২টার দিকে মাহবুবুল হক মনি ও ৮-১০ জন মিলে হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসারের রুমে ঢুকে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন ও বিভিন্ন হুমকি দেন। এরপর সবাই মিলে চিকিৎসককে মারধর করেন। এ সময় হাসপাতালের স্টাফরা তাদের বিরত করার চেষ্টা করেন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: