টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে ১১৩টি চেকপোস্ট বসিয়ে লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গতকাল ২ জুলাই ২০২১ইং তারিখ একদিনে করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
এছাড়া জানা গেছে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনার উপসর্গ নিয়ে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ১ জুলাই ২০২১ইং তারিখ করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ১৬ জনের মৃত্যু হয়।
গত বৃহস্পতিবার ১ জুলাই ভোর ৬টা থেকে গতকাল শুক্রবার ২ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত ৫২৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৩৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ১৯৯ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১১৮ জনের।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শফিকুল ইসলাম সজিব জানান, গত জুনে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে শতাধিক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিনই হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বলেন, কঠোর লকডাউনে সকাল থেকেই মাঠে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জেলায় লকডাউন বাস্তবায়নে ২৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী পুলিশ, বিজিবি, আনসারের ৮০০ সদস্য মাঠে রয়েছেন।
এছাড়াও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে ১১৩টি চেকপোস্ট বসিয়ে লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে। লকডাউন অমান্য করে কেউ যেন টাঙ্গাইলে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে এবং সিরাজগঞ্জ ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। লকডাউন অমান্য করে আসা কোনো যানবাহনকে বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার না করতে সেতু কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের কঠোর বিধি-নিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে টাঙ্গাইল সদর থানার পক্ষ থেকে মহামারি মুক্ত বাংলাদেশ গড়াতে সবাইকে আহ্বান জানানো হয়েছে।