ময়মনসিংহে লকডাউনে ৫২৫ মামলায় জরিমানা ৪ লাখ
এইচ. এম জোবায়ের হোসাইন (ময়মনসিংহ) :
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক সর্বশেষ জারিকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও কড়াকড়ি অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিভাগের চার জেলায় সার্বক্ষণিক লাকডাউন পরিস্থিতির মনিটরিং করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস।
মাঠ পর্যায়ের মোবাইল টীমকে মনিটরিং করতে ভোর থেকে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকসহ এডিএম ও এডিসিগণ ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় বাসার বাইরে যত্রযত্র অবস্থান করতে পারছেনা মানুষ। মোড়ে মোড়ে পুলিশ চেকপোস্টে জবাবদিহিতা করতে হচ্ছে বাইরে বের হওয়া মানুষকে। প্রশাসনের কড়াকড়ির কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এখন আর মানুষ ঘর থেকে বের না হওয়ার অভ্যাসে পরিণত হচ্ছে।
লকডাউনের প্রথম দিনে ময়মনসিংহ জেলায় ৫২৫টি মামলায় প্রায় ৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ১৬ ঘন্টার টানা কর্মতৎপরতায় জেলাজুড়ে ৫২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে এ জরিমানা করা হয় বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক। প্রথমদিন কড়াকড়ি আরোপের ফলে শুক্রবার সকাল থেকে যানবাহন ও মানুষের চলাচল অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আয়েশা হক বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে ময়মনসিংহ জেলার ১৩টি উপজেলায় ১৩ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১৩ জন সহকারী কমিশার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসন নিয়োজিত ২৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভোর থেকে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করায় ৫২৫ মামলায় ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৪৮০ টাকা জরিমানা করা হয়।
প্রথম দিন সকাল থেকেই কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক সর্বশেষ জারিকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী ময়মনসিংহ জেলায় এবং নগরীতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে অভিযান পরিচালনা করে। জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও অভিযান পরিচালনায় সার্বক্ষণিকভাবে সহযোগিতা করে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিতকরণে স্কাউট, বিএনসিসি ও বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন জেলা প্রশাসন সহায়তা করে। এছাড়া রাতভর টহলের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়।
এ ছাড়া লকডাউনের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক, জেলা পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক একেএম গালিভ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাসরিন সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা হক এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সমর কান্তি বসাক।