সালথায় বৃদ্ধি পাচ্ছে গোখাদ্য নেপিয়ার ও পাকচং ঘাসের চাষ
জাকির হোসেন (সালথা,ফরিদপুর) :
ফরিদপুরের সালথায় বৃদ্ধি পাচ্ছে গোখাদ্য নেপিয়ার ও পাকচং ঘাসের চাষ। সময়ের সাথে সাথে চাহিদা থাকায় বাড়ছে গরুর খামার। ফলে স্বাভাবিক নিয়মে বাড়ছে গোখাদ্যের চাহিদা। সেই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে নেপিয়ার ও পাকচং ঘাসের চাষ। ভাল দাম পাওয়ায় বাজারেও বিক্রি করছেন কেউ কেউ।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ছোট বড় প্রায় ৮৭৫ টির মত গরুর খামার রয়েছে, তাছাড়া প্রায় প্রতিটি বাড়িতে গরু রয়েছে, এসব গরুর খাদ্য হিসেবে নেপিয়ার ও পাকচং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে ভাল দাম পাওয়ায় অনেকেই বানিজ্যিক ভাবে চাষ করছেন। রাস্তা ও পুকুর পারের মাটি ধ্বসে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষার জন্যও এই ঘাস লাগাচ্ছেন অনেকেই।
গুরুর খামারী জাকির মোল্যা জানান, তার বাড়িতে টিনের সেড দিয়ে ১ বছর আগে গরু পালন শুরু করেন। বর্তমানে ৩টি গরু রয়েছে। সে গরুগুলোকে প্রতিদিন ৫ কেজি শুকনা খড় (বিচালি) ও ২০ কেজির উর্ধ্বে পাকচং-১ জাতের ঘাস খাওয়ান। এতে তার গরু গুলো ভালো হৃষ্ট পুষ্ট হয়েছে। তবে সে কোনো সময় গরু মোটাতাজাকরনের জন্য ভ্যাকসিন বা কোনো রকম ওষুধ খাওয়ান না।
ঘাসের চাহিদা বাড়ায় সালথার বিভিন্ন স্থানে ঘাসের হাট বসেছে। এসব হাট সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে। ভোর থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘাস এনে হাটে জড়ো করে। ক্রেতারা এসব হাট থেকে নিজেদের চাহিদা মত পছন্দের ঘাস ১০~১০০ টাকা আটি দরে কিনে নিয়ে যায়।
এই ঘাস বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শক্ত হতে থাকে। নেপিয়ার ঘাস ছোট অবস্থায় গরুর খাওয়ানো যায় বড় হয়ে গেলে গরুর খাওয়া সমস্যা হয়। পাকচং ঘাস সাধানত উচু নিচু সব জমিতে ভালো হয়। এই ঘাষের মেয়দ কাল ৬ থেকে ৭বছর হয়ে থাকে। পাকচং ঘাসে মাটি বিশেষ প্রোটিন থাকে ১৮ থেকে ২৪% এই ঘাস সাধারনত নরম থাকে এতে করে ঘাসের বয়স বেশি হলেও শক্ত হয় না একারনে গরুর খাওয়াতে ও কোনো ঝামেলা হয় না।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ শাখায়াত হোসেন বলেন, বর্তমানে উপজেলা ছোট বড় ৮৭৫টি গরুর খামার রয়েছে, এসব খামারগুলো ঘাসের অনেক চাহিদা থাকায় চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমরা বিভিন্ন সময়ে খামারি ও কৃষকদের মাঝে ঘাসের কাটিং ও চাষাবাদে পরামর্শ প্রদান করছি। তবে কচি অবস্থায় ও সার~কীটনাশক দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে এই ঘাস গবাদি পশুকে না খাওয়ানোই ভাল।