শিরোনাম

South east bank ad

পাবনায় স্বাস্ব্যবিধিতে ধ্বস আক্রান্ত বাড়ার উদ্বেগ

 প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

রনি ইমরান (পাবনা):

পাবনার বাজার মার্কেট হাসপাতাল থেকে শুরু করে পাড়ার অলিগলি খেলার মাঠে স্বাস্ব্যবিধি মানতে অনীহা রয়েই গেছে মানুষের। ভীর জটলা করে সামাজিক দূরুত্ব ভেঙে গেছে প্রায় সবজায়গাতে। শহর থেকে গ্রামে মনের আজান্তে ভাইরাস বহন করে মাস্কহীন ঘুড়ে বেড়াচ্ছে বাহকরা। কোভিডের দ্বিতিয় টেউ সামাজিক ভাবে ছড়িয়ে পড়লে বেশি সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হবে আর বেশি সংখ্যক মানুষকে সেবাদানের মত পর্যাপ্ত অবস্থা নেই জেলার হাসপাতালগুলোতে। প্রতিটা মানুষ যদি স্বাস্ব্যবিধি না মানে তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে জানায় জেলা স্বাস্ব্যবিভাগ সূত্র। মহামারী কোভিড- ১৯ গত বছরের ১৬ ই এপ্রিল পাবনার চাটমোহর বামনগ্রামে প্রথম রোগী শনাক্তের পর থেকে জেলায় মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজারের বেশী। জেলা স্বাস্ব্যবিভাগ ধারনা করছে, নতুন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ক্রমাগত সংক্রামিত করে চলছে পাবনায়। করোনা পরিস্থিতি যখন খারাপের দিকে যাচ্ছে তখন মানুষের স্বাস্ব্যবিধি মানাটা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।

পাবনায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৪৩ জন আর এক সপ্তাহে ৫৭২ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছে বলে জানায়, জেলা স্বাস্ব্য বিভাগ । জেলার ৩০ লক্ষ মানুষকে কোভিড- ১৯ থেকে বাঁচাতে হলে সকলকেই সচেতন হতে হবে। মহামরী পরিস্থিতি যদি ভয়াবহ হয়ে ওঠে তবে রোগীদের জন্য ভেন্টিলেটর, পর্যাপ্ত অক্সিজেন, উন্নত আইসিইউ সুবিধার চাহিদা প্রচুর বেড়ে যাবে। পাবনার হাসপাতাল গুলাতে চিকিৎসা সেবা অপ্রতুল তাই সচেতনার উপরই গুরুত্ব দিতে হবে।

মানতে হবে স্বাস্ব্যবিধিগুলো, স্বাস্ব্যবিধিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য,মুখে মাস্ক ব্যাবহার করতেই হবে। এবিষয়ে অনেকের অনীহা বা ভালোলাগেনা স্বভাব পাল্টে ফেলার সময় চলছে এখন। পাবনায় বিশেষজ্ঞরা সর্তক করে বলেছেন, মাস্ক না পড়লে তার জন্য অপেক্ষা করছে ভেন্টিলেটর। হাসপাতালে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভেন্টিলেটর নিতে না চাইলে অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে এবং মাস্ক থুঁতনির উপর নয় মুখ নাক ঢেকে সঠিক নিয়মে মাস্ক পড়তে হবে।

সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে ভীর,গেদারিং এড়িয়ে চলতে হবে। নিয়মিত হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। অপরিষ্কার হাত নাকে,মুখে,চোখ স্পর্শ করা যাবেনা।

অবশ্যই হাঁচি, কাশি দেওয়ার সময় মুখ ঢাকতে হবে। অসুস্থ হলে মানুষের ভীরে না গিয়ে জরুরি ডাক্তারে পরামর্শ গ্রহন করতে হবে। অসুস্থ হলে বাসার অন্য সদস্যদের ভাইরাস থেকে নিরাপদে রাখার পদক্ষেপ নিতে হবে।

মাছরাঙা টেলিভিশনের উত্তরাঞ্চলীয় ব্যুারো চীফ উৎপল মির্জা বলেন, সবার আগে আমাদের সচেতন হতে হবে, কোভিডের ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে হবে।একসাথে বেশি সংখ্যক মানুষ যদি আক্রান্ত হয়ে যায় তবে পাবনাতে চিকিৎসা সেবা তেমন পাবেনা। সেক্ষেত্র গরীব মানুষগুলো ঢাকা, রাজশাহী উন্নত চিকিৎসা করাতে পারবেনা। আমাদের সকলকে নিজ চিন্তা না করে সমষ্টিগত চিন্তা করা দরকার। সকলকে ভালো রাখতে পারলে আমরা নিজেও ভালো থাকবো। তাই প্রতিটি মানুষেরই সচেতনতার বিকল্প নেই,বলছিলেন, সাংবাদিক উৎপল মির্জা।

পাবনা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সাবেক উপ পরিচালক ডাঃ রাম দুলাল ভৌমিক পাবনার বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি বিষয়ে মনে করেন, আগামীকাল সোমবার থেকে লকডাউন জরুরী এবং সকলের তা মানা দরকার। সরকারের এমন উদ্যোগ জনমানুষের স্বাস্ব্যের কথা বিবেচনা করেই। সীমিত সময়ের জন্য সমস্যা হলেও সকলেরই বিধিনিষেধ মেনে চলা উচিৎ এবং স্বাস্ব্যবিধিগুলো সকলের ভালোর জন্যই মেনে চলতে হবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: