শিরোনাম

South east bank ad

সুন্দরবন এলাকার জেলেদের নৌকা থেকে জাল ও রশি নিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে বনবিভাগ

 প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এমএ জামান (সাতক্ষীরা):

সুন্দরবনে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার লোকালয় সংলগ্ন চুনকুড়ি নদীতে বেধে রাখা জেলে নৌকা থেকে মাছ ধরার জাল ও রশি নিয়ে যাচ্ছে বনবিভাগ নৌপুলিশ ও কোষ্টগার্ড এর সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী। এসব জাল ও রশি পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে।

২৫ জুন শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জ নৌপুলিশ ফাঁড়ীর সামনে এভাবে আটক করা ৯৭ হাজার মিটার নেট জাল ও ৪,৮৭০কেজি রশি পুড়িয়ে ধ্বংশ করা হয়।

শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ও সিংহড়তলী এলাকার জেলেরা জানায়, সুন্দরবন থেকে মাছ ধরা শেষ হলে তারা বাড়ি ফিরে এসে নৌকাগুলি বাড়ি সংলগ্ন চুনকুড়ি নদীতে বেধে রাখে। ঐ নৌকায়ই রাখা থাকে মাছ ধরা জাল ও রশি।

বর্তমানে সরকার কতৃক মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় তাদের নৌকা ও জাল-রশি বাড়ি সংলগ্ন চুনকড়ি নদীতে বাধা আছে। সেখান থেকে বনবিভাগ নৌপুলিশ ও কোষ্টগার্ড এর সদস্যরা সেগুলো নিয়ে যায় এবং পুড়িয়ে ফেলেছে।

স্থানীয় জেলে শোকর আলী বলেন, বনে পাশ বন্ধ থাকায় আমরা জাল নৌকা ধুয়ে বাড়ির সামনে রেখে দেই। সেখান থেকে কোষ্টগাড, বনবিভাগ ও নৌপুলিশরা যেয়ে জাল আর কাছি নিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে আমরা কিভাবে সুন্দরবনে যাবো বুঝতে পারছি না।

সিংহড়তলী গ্রামের প্রতিবন্ধি ফজিলা খাতুন (৫৫)বলেন, পাশ বন্ধ থাকায় জাল নৌকা বাড়ির পাশে রাখাছিল। কিন্তু সেখান থেকে এনে পুড়িয়ে দিয়েছে। ফজিলা আরো বলেন “এখন আমার বাড়ি আয় করার লোক নেই। পাশ ছাড়লে কি দিয়ে মাছ ধরবে।”

কদমতলা ষ্টেশন কমকতা আবু সাঈদ বলেন, অবৈধভাবে নদীতে নেট জাল ধরায় আমরা সুন্দরবনের চুনকুড়ি নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে ৯৭ হাজার মিটার অবৈধ নেট জাল, ৪৮৭০কেজি জাল ধরা রশি আটক করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেই। বেধে রাখা নৌকা থেকে জাল ও রশি নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: