ময়মনসিংহে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ ইজাদারের বিরুদ্ধে
এইচ এম জোবায়ের হোসাইন:
ময়মনসিংহের ত্রিশালে সরকারী ইজারার বাজার থেকে অতিরিক্ত ইজারা আদায়ের অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বণিক সমিতি ও ব্যবসায়ীরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর।
অভিযোগ সূত্র জানায়, সরকারী নিয়মানুযায়ী বাজারের টোল আদায় করার কথা থাকলেও ইজারাদার বছরের পর বছর ধরে বিনা সরকারী চার্টে মনগড়া টোল আদায় করছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধের দাবি জানিয়ে গত কয়েকদিন আগে ধান ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত টোল বন্ধের জন্য স্থানীয় কালীর বাজার বণিক সমিতির সভাপতির নিকট লিখিত দিলে বণিক সমিতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত ভাবে অভিযোগ দেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী শরীফ আহমেদ, আলী হোসেন, অরুন পন্ডিত, প্রণয় সাহা, শংকর প্রসাদ, মাহমুদুল হাসান, মোশারফ হোসেনসহ প্রায় শতাধিক ব্যবসায়ী স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে জানাযায়, বাজারের স্থায়ী ব্যবসায়ীগণ তথা মুদি দোকানীরা কোন আমলেই টোলের আওতায় ছিল না, কিন্তু গত বছর থেকে প্রত্যেক মুদি দোকানসহ স্থায়ী দোকানীদের নিকট হতে ইজারা জোর পূর্বক আদায় বাৎসরিক হারে মোটা অংকের টোল আদায় করছে। বাজার ডাকে মহালগুলো আওতাভূক্ত থাকার কথা থাকলেও ইজাদার মহালগুলো ছাড়াও স্থায়ী ব্যবসার ঘর, ঔষধ কোম্পানীসহ বিভিন্ন কোম্পানীর ডেলিভারী গাড়ি হইতে এবং স্থায়ী ভিট ব্যবসায়ীদের নিকট হতে টোলের নামে চাঁদা আদায় করছে। এছাড়াও ব্যবসায়ীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অতিরিক্ত টোল না দিলে তাদেরকে নানান সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরও করার ঘটনা রয়েছে ইজারাদার ও তার লোকজন বিরুদ্ধে।
কালীর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম (রফিক) জানান, ইজারাদার কামরুল হাসান নয়ন অতিরিক্ত টোল আদায় করছে এবং নিদিৃষ্ট খাতের বাহিরেও স্থানীয় সাধারণ দোকানীদের কাছ থেকেও টোল আদায় করছে এবং তাদের কথানুযায়ী টোল না দিলে গালিগালাজ ও শারিরীকভাবেও করা হয় লাঞ্ছিত। ইজাদার ইজারার নামে যা করছে তা সরাসরি লুটপাটের সমতুল্য। তাই বণিক সমিতি বিষয়টি নিয়ে সাধারণ আলোচনা করে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আমরা এ বিষয়ে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইজারাদার কামরুল হাসান নয়ন টোল আদায়ে সরকারী যে রেইট তার থেকেও কম টোল আদায় করি আমি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছে, তাদেরকে নিয়ে বসে বিষয়টি নিষ্পত্তির কথা বলেছিলাম তবে সবশেষ ব্যবসায়ী ও বণিক সমিতির অভিযোগ অনুযায়ী জানতে পারলাম তাদের মধ্যে কোন আপোষ হয়নি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।